অসহায় এক বৃদ্ধকে বুকে জড়িয়ে সাহস যোগানো সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এমনই এক ছবি নিজের ফেসবুক ওয়ালে স্ট্যাটাস দিয়ে এভাবেই লিখেছেন একজন।
নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জে ‘রোয়ানু’ দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে গত রোববার (২২ মে) সেখানে গিয়েছিলেন মন্ত্রী। কাঁদা মাটি মাড়িয়ে ছুটে চলা মন্ত্রী নিজের ফেসবুক ওয়ালেও দিয়েছেন এমন সব ছবি। সেখানেও এ. কে. এম. দস্তগীর নামে একজন লিখেছেন ‘স্যালুট মাই হিরো।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মন্ত্রী হবার পর থেকেই রাস্তায় নেমে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। জনস্বার্থকে গুরুত্ব দিয়েই নিজের মন্ত্রীত্বকে নিবেদন করেছেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ ছেড়ে নিত্যদিন সড়কে ঘাম ঝরিয়েছেন।
অনেকেই তার অ্যাকশন বা কাজের স্টাইলকে আড় চোখে দেখলেও ‘নায়ক’ সিনেমার অনিল কাপুরকেও হার মানানো এ মন্ত্রী দেশের জনগণের চাওয়া-পাওয়াকেই গুরুত্ব দিয়েছেন বরাবরই।
সড়কে রক্তপাত কমাতে এ মন্ত্রীই কোনো রকম প্রটোকল ছাড়াই ব্যাটারি চালিত অটো রিকশার বিরুদ্ধে নিজেই অভিযানে নেমে পড়েন।

গত ২২ মে মন্ত্রীর নিজের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করা ছবিসমূহে দেখা গেছে, কালো রঙের টি শার্ট, জিন্স প্যান্ট আর কেডস পড়ে মোটর সাইকেলের পেছনে চড়ে গ্রামের মেঠোপথে ছুটছেন মন্ত্রী।
কাঁদা মাটির সড়কে কখনো পায়ে হাঁটছেন। অসহায় মানুষকে বুকে জড়িয়ে ধরছেন। আবার তাদের মাঝে সরকারি ত্রাণ সামগ্রীও বিতরণ করছেন।
বছরের প্রায় পুরোটা সময় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সড়ক, সেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করতে দেশের এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত চষে বেড়ান।

দায়িত্বে অবহেলা বা কাজে গাফিলতি পেলে তাৎক্ষণিক দোষী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ নেন। প্রতিটি কার্যক্রমের নিজেই নিবিড় ফলোআপ করেন।
শুধু সড়ক-মহাসড়কেই মন্ত্রীর তৎপরতা সীমাবদ্ধ নয়। ক’দিন আগে মন্ত্রী উত্তরা ও কেরানীগঞ্জে বিআরটিএ অফিসে দালাল ধরার অভিযানে নামেন। হাতেনাতে ধরেনও দালালদের। মন্ত্রীর এসব কর্মকাণ্ডে বরাবরই দেশের সাধারণ মানুষের বাহবা পেয়েছেন।
গত বছরের একটি ঘটনা। ফেসবুক ও মোবাইলফোনে অভিযোগ পেয়ে গাজীপুরের সালনা বাজারে চুপিসারে অভিযানে আসেন মন্ত্রী।
সেখানে ফ্রি স্টাইলে প্রকাশ্যে পুরনো মাইক্রোবাস কেটে তৈরি হচ্ছিল লেগুনা। মন্ত্রী এসে ওই অবৈধ কারখানা বন্ধ করে দেন। এমন ঘটনা শুধু একটি বা দু’টি নয়, অসংখ্য।

সরকারের সফল মন্ত্রীদের অন্যতম ওবায়দুল কাদের। দেশের ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংঠন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। রাজনীতির দুর্গম পথ হেঁটে এখন আওয়ামী লীগ রাজনীতির অন্যতম নীতি নির্ধারক। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সামলাতেও তার ভূমিকা প্রশংসনীয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত এ ছায়াসঙ্গী স্টেট ফরোয়ার্ড মন্ত্রী হিসেবে আলোচিত। যা বিশ্বাস করেন সেটাই করেন শিল্প ও সংস্কৃতিপ্রেমী এ মানুষ।
মন্ত্রী নিজেই বলেন, ‘শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে মানুষের দুঃখ-কষ্ট-দুর্ভোগ বোঝা যায় না। এগুলো বুঝতে হলে রাস্তায় নামতে হয়। জনগণের কাছাকাছি যেতে হয়।’

‘সরকারের দক্ষ, মেধাবী এ মন্ত্রী দল ও দেশের ভাবমূর্তিকেই বড় করে দেখেন। নিজের চোখে জনদুর্ভোগ দেখে সমাধান করেন। দায়িত্বশীল মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এটিই করেন।
তার কাজের এ স্টাইলই পাবলিক পছন্দ করে, ভালবাসে’ বলছিলেন বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা কল্যাণ সমিতির সভাপতি নাজমুল ইসলাম।
