বুধবার ( ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩, ২৫ মে) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৭তম জন্মবার্ষিকী।

এ বছর জন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান হবে চট্টগ্রামে। আগামী ২৫ মে চট্টগ্রামের এম এ আজিজ আউটার স্টেডিয়ামে সকাল ১১টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি প্রফেসর ইমেরিটাস রফিকুল ইসলাম ও জাতীয় কবির পৌত্রী খিলখিল কাজী।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আক্তারী মমতাজ এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন।

এবছর জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মান্ধতারোধে নজরুলের প্রাসঙ্গিকতা’।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে স্মারক বক্তব্য রাখবেন- বিশিষ্ট নজরুল গবেষক আবুল মোমেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলোচনার পর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও নজরুল ইনস্টিটিউটের আয়োজনে ৩০ মিনিটের একটি সাংস্কৃতিক পর্ব থাকবে। দেশের বিশিষ্ট নজরুল সংগীতশিল্পীরা এতে গান পরিবেশন করবেন।

জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২৫ মে সকাল সাড়ে ৬টায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অঙ্গপ্রতিষ্ঠানসমূহের পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কবির সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হবে।

নজরুল ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এ উপলক্ষে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।

ঢাকাসহ জাতীয় কবির স্মৃতিবিজড়িত ময়মনসিংহের ত্রিশাল ও কুমিল্লার দৌলতপুরে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় তাঁর ১১৭তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে।

বাংলা একাডেমির সহযোগিতায় নজরুল ইনস্টিটিউট জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণিকা ও পোস্টার মুদ্রণ করবে। নজরুল ইনস্টিটিউট কাজী নজরুল ইসলামকে বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে পরিচিত করার লক্ষে কবির ছবি, পোস্টার ও বই প্রদর্শনীর আয়োজন করবে এবং গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর বই প্রদর্শনী, পাঠ

প্রতিযোগিতা ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যথযোগ্য মর্যাদায় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন করবে।

ঢাকাসহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দিবসটি যথাযোগ্যভাবে উদযাপন করা হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহ এ উপলক্ষে কর্মসূচি গ্রহণ করবে।

যেসব জেলায় জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নজরুল জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে না, সেসব জেলার জেলা প্রশাসকরা স্থানীয় সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি ও সুধীজনের সহযোগিতায় যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করবে।

জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠান ও অন্যান্য অনুষ্ঠানমালা বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি চ্যানেলসমূহ সম্প্রচার করবে।

জাতীয় কবির ১১৭তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জাতীয় পর্যায়ের মূল অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানসমূহে ব্যাপক নিরাপত্তা দেওয়া হবে।