মঙ্গলবার (২৪ মে) সকালে উপজেলার তারাব পৌরসভার কাহিনা এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
তবে, নিহতের স্বজনদের দাবি খাদিজা আক্তারকে তার মাদকাসক্ত স্বামী পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। খাদিজা আক্তার কাহিনা এলাকার নুরুল ইসলামের মেয়ে। তিনি স্থানীয় লিটল ফ্লাওয়ার কিন্ডার গার্টেন স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন।
রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আক্কাস আলী জানান, কাহিনা এলাকায় বসতঘরে খাদিজা আক্তারের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
খাদিজা আক্তারের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, স্বামীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির সময় মাথায় আঘাত পেয়ে খাদিজার মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এদিকে, খাদিজার বাবা নুরুল ইসলাম জানান, ৩ বছর আগে ময়মনসিংহ জেলার শেরপুর থানার হরিন্দরা এলাকার মোতালিব মিয়ার ছেলে মতিউর রহমান মতির সঙ্গে খাদিজার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তারা কাহিনা এলাকার মনিরুল ইসলাম জহিরের বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। বিয়ের কিছুদিন পরেই জামাতা মতি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন।
এছাড়া তিনি কোন কাজ কর্মও করতেন না। তার মেয়ে স্কুলে শিক্ষকতা করে সংসার চালাতেন। প্রায় সময়ই মতি মাদক কেনার টাকার জন্য খাদিজাকে চাপ দিতেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলেই খাদিজাকে মারধরসহ বিভিন্নভাবে শারীরিক নির্যাতন করা হতো।
সোমবার রাতে মাদকাসক্ত মতির সঙ্গে খাদিজার বাক-বিতণ্ডা হয়। রাতের কোন এক সময় খাদিজাকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মতি পালিয়ে যান বলে তিনি দাবি করেন।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, অভিযুক্ত মতিউর রহমান মতিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ): নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে খাদিজা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।