সোমবার (২৩ মে) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নূরজাহান বেগমের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসে সাংবাদিকদের তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, জীবন-মৃত্যুর কাছে হেরে যায়। তিনি এমনই পরিণতির মুখোমুখি হয়েছেন। যখন তার মতো কাউকে আমরা হারাই তখন বিরাট এক শূন্যতা তৈরি হয়। যা পূরণ হয় না, হওয়ারও নয়।
সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, তার চেয়ে বড় কথা- নারীর মুক্তিতে আজীবন সব কর্মকাণ্ডে এতো বেশি তিনি জড়িত ছিলেন যা সবসময়ই বিশাল। নারীর মর্যাদা ফিরিয়ে আনা, মুক্তি অর্জনে তিনি সারাজীবন ভূমিকা রেখেছিলেন।
জীবনভর একটিমাত্র লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়া কঠিন হলেও তিনি তা পেরেছিলেন, এমন মন্তব্য করে আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, সারাজীবন এমনভাবে কাজ করা কঠিন; কিন্তু তিনি তা করে গিয়েছিলেন। নারী মুক্তি আন্দোলন নিয়ে যারা কাজ করেন তারা চিরকাল তার থেকেই অনুপ্রাণিত হবেন।
এদিকে, শ্রদ্ধা জানাতে এসে সুলতানা কামাল বলেছেন, আমার মা সুফিয়া কামালের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ছিলেন নূরজাহান বেগম। ওই সময় নারী সাংবাদিক-লেখিকাদের তিনি এগিয়ে নিয়ে গেছেন। সেই সময়ই নারী লেখকদের ছবি সংবলিত লেখা তিনি প্রকাশ করতেন।
সুলতানা কামাল আরও বলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের প্রতিদিনই যোগাযোগ হতো। আমি মনে করি তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে একটা সময় শেষ হলো। আমরা কোনো দিন তাকে ভুলে যাবো না।











