শনিবার (২১ মে) দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের অতিক্রম করে ঘূণিঝড় ‘রোয়ানু’। এতে ক্ষতিগ্রস্ত বেশিরভাগ পরিবারের মাঝে এখনো (২৩ মে) ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছায়নি বলে জানা গেছে। দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।
ঝড়ে ভোলা সদর তজুমদ্দিন, লালমোহন ও দৌলতখানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বেশকিছু এলাকা। অসংখ্য মানুষ এখনো পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বেশকিছু এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা হলেও বেশিরভাগ মানুষ তা পায়নি বলে অভিযোগ করেছে তারা।
তজুমদ্দিনের ক্ষতিগ্রস্ত জসিম উদ্দিন বলেন, তিন ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে অসহায় অবস্থায় রয়েছি, সরকারি সাহায্য এখনও আসেনি।
ইউসুফ হোসেন ও জেলে বাসু বলেন, পুকুর ও ডোবার পানি নোংরা হয়ে গেছে। আশপাশে টিউবওয়েলও নেই। তাই পানযোগ্য পানির সংকটে আছি। এছাড়া দিন আনি দিন খাই সংসারে খাবার কেনার টাকাও নেই। ঘরেও রান্না করার কিছু নেই। ছেলে-মেয়েদের নিয়ে অনাহারে, অর্ধাহারে আছি।
শফির উদ্দিনের স্ত্রী পিয়ারা বেগম বলেন, সাত বার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছি। ঋণ নিয়ে নতুন করে ঘর তৈরি করেছিলাম, এই ঝড়ে তাও শেষ।
এদিকে, ঝড়ের দিন থেকে সোমবার পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চার লাখ টাকা ও ৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য। তবে দুর্গম হওয়ায় সব এলাকায় এখনো ত্রাণ পৌঁছায়নি। দুর্গত এলাকায় কাজ করছে ৯২টি মেডিকেল টিম।
জেলা প্রশাসক মো. সেলিম উদ্দিন জানান, আরো বরাদ্দ পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হবে।











