
ঝিনাইদহের হরিনাকুণ্ডুতে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই চেযারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংর্ঘষ হয়েছে। সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এ সময় ওই গ্রামের দিদার মণ্ডল (৬০) নামের একজন মারা যান। প্রশাসনের ধারণা, দিদার মণ্ডল হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। তবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী ফজলুর রহমান ও দিদারের পরিবারের দাবি প্রতিপক্ষের লোকজন দিদার মণ্ডলকে হত্যা করেছে। আহতদেরকে ঝিনাইদহ ও হরিনাকুণ্ডু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে জেলার হরিনাকুণ্ডু উপজেলার ফলসি ইউনিয়নের ফলসি গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও হরিনাকুণ্ডু থানার ওসি মাহাতাব উদ্দিন জানান, জেলার হরিনাকুণ্ডু উপজেলার ফলসী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী বজলুর রহমান ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ফলসী গ্রামে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩৫ জন আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে ফলসী গ্রামের দিদার মণ্ডল (৬০) নামে একজনের মৃত্যু হয়। পুলিশ প্রথমিকভাবে ধারণা করছে সংঘর্ষের সময় আতঙ্কে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে দিদার মণ্ডলের মৃত্যু হয়েছে। তবে দিদারের পরিবারের দাবি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ২৫ জনকে হরিনাকুণ্ডু হাসপাতাল ও দুইজনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃত দিদার মণ্ডলের বড় ভাই খলিল মণ্ডল বলেন, “আমার ভাই সকালে মাঠে কাজ করতে যাচ্ছিলেন। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনে গেলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর লোকজন তাঁকে শরীরিকভাবে আঘাত করে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। এতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রাথী ফজলুর রহমান বলেন, “আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বজলুর রহমানের লোকজন নির্বাচনী প্রচারে আমার লোকজনকে বাধা দিচ্ছে। সকালে ফলসি গ্রামে আমার সমর্থক দিদার মণ্ডলকে শারীরিকভাবে আঘাত করে হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী বজলুর রহমান বলেন, “সকালে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রাথী ফজলুর রহমানের সমর্থকরা আমার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষের আগেই দিদার মণ্ডল হার্ট অ্যাটাকে করে মারা যান। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে আমার প্রতিপক্ষ প্রচার করছে। আমার লোকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। হরিনাকুণ্ডু থানার ওসি মাহাতাব উদ্দিন জানান, লাশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে, নাকি তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।