
মিসড কল দেয়া থেকে মুঠোফোনে পরিচয়। অতঃপর দেড় বছর ধরে প্রেমালাপ। সেই অচেনা প্রেমিকের টানে বাড়ি থেকে পালিয়ে আসা। এরপর সেই অসম প্রেমের সূত্র ধরে লিভটুগেদার (বিয়ে ছাড়া এক সঙ্গে বসবাস)। তবে এতোকিছুর পরেও লাশ হতে হয়েছে প্রেমিকা সানজিদা আক্তার সুপ্তিকে (১৮)। সুপ্তি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বলশিয়াতারা গ্রামের সোহরাব মিয়ার মেয়ে।
তার প্রেমিকের নাম বিপ্লব চন্দ্র বর্মনের (২০)। তিনি রংপুর নগরীর কলেজ রোড খামারপাড়া এলাকার মৃত অশোক চন্দ্র বর্মনের ছেলে এবং স্থানীয় একটি মোটর গ্যারেজের কর্মচারী।
মঙ্গলবার (৩ মে) সকালে রংপুর মহানগরীর কলেজ রোড খামারপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে সুপ্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রেমিক বিপ্লব চন্দ্র বর্মনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, বছর দেড়েক আগে মোবাইলে ফোনে বিপ্লব চন্দ্র বর্মনের সঙ্গে পরিচয় হয় টাঙ্গাইলের সুপ্তির। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে মুঠোফোনে প্রেমালাপে সম্পর্ক গড়ে উঠে। আজ থেকে মাস তিনেক আগে প্রেমের টানে বাড়ি-ঘর ছেড়ে রংপুরে চলে আসেন সুপ্তি। এরপর দুজনে মিলে নগরীর খামারপাড়ায় জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি ভাড়া নিয়ে একত্রে (লিভটুগেদার) বসবাস করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে সোমবার (২ মে) রাতে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য ও কথাকাটাকাটি হয়। আজ (৩ মে) সকালে ওই ভাড়া বাসা থেকে সুপ্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
কোতোয়ালি থানা পুলিশের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা এসআই মজনু সাংবাদিকদের জানান, কথা কাটাকাটির জের ধরে সুপ্তি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। তবে তার মৃত্যু হত্যা না আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম জাহিদুল ইসলাম জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। আটক বিপ্লবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।