বর্তমানে কানাডায় বসবাস করছে ২৫ হাজারের বেশি সিরীয় শরণার্থী। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে দেশটি থেকে আরো ১০ হাজার শরণার্থী নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কানাডার অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী জন ম্যাককুলাম।
কানাডার গণমাধ্যম কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনকে (সিবিসি) তিনি জানান, সিরীয় শরণার্থীদের কানাডায় নিতে চায় এমন বিভিন্ন সংগঠনগুলোর প্রস্তাবে তিনি রাজি। তবে এর আগে তাদের আবেদনগুলো দ্রুত প্রক্রিয়ার মধ্যে আনা হয়নি। কারণ সিরীয় শরণার্থী নিতে সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ২৫ হাজার (যা ইতিমধ্যে দেশটিতে আছে)।
জার্মানির বার্লিন থেকে ফোনে সিবিসি নিউজকে জন ম্যাককুলাম বলেন, ‘শরণার্থীদের পৃষ্ঠপোষকতার অংশ হিসেবে আমাদের পক্ষে যতটুকু সম্ভব আমরা তাদের সাদরে গ্রহণ করবো।’ বর্তমানে তিনি জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে এক বৈঠকে রয়েছেন।
গত মাসে প্রকাশিত এক জনমত জরিপে দেখা যায়, কানাডার অধিবাসীদের মধ্যে সিরীয় শরণার্থীদের গ্রহণ করার ব্যাপারে বিভক্তি রয়েছে। অভিবাস বিভাগের দেয়া তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের ২৮ মার্চ পর্যন্ত কানাডায় মোট ২৬ হাজার ২০০ সিরীয় শরণার্থী গিয়ে পৌঁছেছে। আরো ১৬ হাজারেরও বেশি আবেদন প্রক্রিয়াধীন কিংবা চূড়ান্ত হয়েছে।
এসব আবেদনের মধ্যে এমনকি যেসব শরণার্থী এখনো এসে পৌঁছেনি তারাও রয়েছেন। এর আগে ম্যাককুলাম বলেছিলেন, কানাডার ১০টি রাজ্যই শরণার্থী গ্রহণ করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।
২০১৫ সালের ১৮ অক্টোবর ত্রুদোর নেতৃত্বাধীন উদারপন্থী দল দেশটির নির্বাচনে জয় লাভ করে। পূর্বসূরি প্রধানমন্ত্রী রক্ষণশীল দলীয় স্টিফেন হারপারের শরণার্থী নীতির বিপরীত অবস্থানে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ত্রুদো। হারপার কানাডায় আরো মানুষকে বসতি স্থাপন করতে দিতে অনাগ্রহী ছিলেন।
এদিকে শরণার্থীদের আবেদনের সময়সীমা বাড়াতে কানাডীয় কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন ম্যাককুলাম। এর আগে আবেদনের সময়সীমা ছিল ১ মার্চ পর্যন্ত।
প্রধান সম্পাদক:- তোফায়েল হোসেন তোফাসানি, ক্রাইম নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (প্রা:) লি: কর্তৃক প্রকাশিত একটি অনলাইন পোর্টাল ও সংবাদ সংস্থা। অফিস- সি-৫/১, ছায়াবীথি, সাভার, ঢাকা-১৩৪০।ঢাকা অফিস- বাড়ি নং-১, রোড-২৮, সেক্টর-৭, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০
ইউএসএ অফিস- ২১৬২৮ ১৩৬ এভিনিউ ষ্প্রিংফিল্ড গার্ডেন, নিউইয়র্ক- ১১৪১৩, ইউএসএ। ফোন- ০২-৭৭৪১৯৭১, সেল- +৮৮০১৭১১০৭০৯৩১, +৮৮০১৩০০৫৫৫৪৪০, ই-মেইল- cninewsdesk24@gmail.com, news@cninews24.com