সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার মাঠে মাঠে এখন কৃষকের সোনালী স্বপ্ন বাতাসে দোল খাচ্ছে। সোনালী ধানের শীষে ভরে উঠেছে মাঠ। সেই সাথে রঙিন হয়ে উঠছে প্রান্তিক চাষিদের স্বপ্ন। মাঠজুড়ে এখন সোনালী স্বপ্নের ছড়াছড়ি। চলতি আশ্বিন মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে কাজিপুরের কৃষকেরা ধান কাটা শুরু করেছেন। মধ্যবর্তী কার্তিক পুরোদমে রোপা-আমন কাটা-মাড়াই শুরু করবেন তারা।
চলতি মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়া থাকায় অন্যান্য বছরের চেয়ে রোপা-আমন আবাদ ভালো হয়েছে। আশানুরূপ ফলনের সম্ভাবনাও রয়েছে। কাজিপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠগুলোতে যতদূর চোখ যায়, চারদিকে শুধু সোনালী ফসলের সমারোহ। পুরো মাঠ যেন সোনালী রঙে সেজেছে। মাঠে গেলে বাতাসের দোলে মন-প্রাণ জুড়িয়ে যায়। চলতি মৌসুমে মাঠে অন্য সব বছরের চেয়ে ধানের শীষ ভালো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এবার ধানের বাম্পার ফলন হবে।
কাজিপুর উপজেলার চরাঞ্চলের খাসরাজবাড়ী গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চলতি রোপা-আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূল ও বড় ধরনের বন্যা নেই বললেই চলে এবং বিদ্যুতের লোডশেডিং না থাকায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। সোনামুখী ইউনিয়নের রৌহাবাড়ী গ্রামের ফজলুল হক ও পাঁচগাছি গ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রাকৃতিক কোনো ধরনের দুর্যোগ না হলে আশানুরূপ ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
কাজিপুরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান, শাহীন আলম বলেন, এ উপজেলায় চলতি রোপা-আমন মৌসুমে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাই ফসলভরা মাঠ সোনালী রঙে রঙিন হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, কাজিপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১০৯০০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা, ১১০০০ হেক্টর অর্জন (জমিতে রোপা-আমন চাষ হয়েছে)। কাজিপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ বলেন, এ মৌসুমে ১০৯০০ হেক্টর জমিতে রোপা-আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্জন মোট ১১০০০ হেক্টর জমিতে রোপা-আমন চাষাবাদ হয়েছে।
কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শরিফুল ইসলাম বলেন, রোপা-আমন ধানের ক্ষেত সবুজে ভরে উঠেছে। কৃষি অফিস থেকে আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছি। মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ কৃষকদের সময়মতো পরামর্শ দেওয়ায় রোপা-আমন ক্ষেতে এবার রোগবালাই কম। তাই এবারও ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছি।