সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আফজাল হোসেন মেমোরিয়াল ডিগ্ৰি কলেজের শিক্ষার্থীরা ভবনের অভাবে ভাঙাচোরা টিনের ঘরে ক্লাস করতে বাধ্য হচ্ছেন। ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজের এখনো কোনো স্থায়ী ভবন নির্মিত হয়নি।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে একটি ভবনেই কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষ,
উপাধ্যক্ষের রুম, অফিস রুম ও টিচার রুম রয়েছে।
বর্তমানে কলেজটিতে ৫৯ জন শিক্ষক, ১৩ জন কর্মচারী, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ৪০০ জন এবং ডিগ্ৰি পর্যায়ে ৭৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ৩১ বছর ধরে শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো আলাদা ক্লাসরুম না থাকায় পাশের ৬ টি জরাজীর্ণ টিনশেড ঘরে গাদাগাদি করে ক্লাস পরিচালনা করা হচ্ছে।
আফজাল হোসেন মেমোরিয়াল ডিগ্ৰি কলেজের অধ্যক্ষ মহসীন রেজা বিপ্লব বলেন, “ভবন না থাকার কারণে শিক্ষাদান কার্যক্রম ব্যাপক অসুবিধা হচ্ছে। দুই সরকারি নতুন ভবন পেলে শিক্ষার্থীরা সুবিধাজনক পরিবেশে শিক্ষা গ্ৰহণ করতে পারবে। তাছাড়া শিক্ষকদের জন্য ও আলাদা কক্ষ নেই।”
আফজাল হোসেন মেমোরিয়াল ডিগ্ৰি কলেজের শিক্ষক ৫৯ জন, কর্মচারী ১৩ জন, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ৪০০ জন ও ডিগ্ৰি পর্যায়ে ৭৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ভবন না থাকার কারণে এখানে গাদাগাদি করে জরাজীর্ণ ভবন ও ভাঙ্গা টিনের ঘরে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা।
আফজাল হোসেন মেমোরিয়াল ডিগ্ৰি কলেজের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামান মিনু, বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আয়েশা সিদ্দিকা জানান, ক্লাসরুম না থাকার কারণে পাঠ দানের ব্যাপকভাবে সমস্যা হচ্ছে। ওই কলেজের দুই জন শিক্ষার্থী জানান, এ কলেজে পড়াশোনার মান ভালো, শিক্ষকগণ অতিযত্ন সহকারে পাঠদান করান। কিন্তু ক্লাসরুম ও শৌচাগারের অবস্থা খুব শৌচনীয়।
এবিষয়ে আফজাল হোসেন মেমোরিয়াল ডিগ্ৰি কলেজের অধ্যক্ষ মহসীন রেজা বিপ্লব বলেন, এখানে সরকারি ভাবে দুইটি ভবন শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রদান করলে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে সুবিধা হবে। ভবন না থাকার কারণে পাঠ দানে বিভিন্ন প্রকার সমস্যা পড়তে হচ্ছে। এছাড়া একটি কলেজে যা যা প্রয়োজন সেই তুলনায় এখানে তেমন কিছুই নেই। এমনকি শিক্ষক ও কর্মচারীদের আলাদা কোন ভবন নেই।
উল্লেখ্য, কাজিপুর উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম আফজাল হোসেন সরকার ও বর্তমান উপজেলা বিএনপির সভাপতি সেলিম রেজার কলেজ মনে করে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই কলেজটি অবহেলিত থেকে গেছে। কলেজটির দুইটি নতুন ভবনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সংশ্লিষ্টরা। #