গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো ধান চাষের জন্য লাঙ্গল ও অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহার করে বীজতলা তৈরি ও পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়নে ইরি-বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষকরা দলবেঁধে বীজতলা তৈরি ও পরিচর্যা করছেন।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকরা জানান, এ বছরে জমিতে পানি কম থাকায় গভীর নলকূপ বা শ্যালো মেশিন দিয়ে জমিতে সেচের ব্যবস্থা করে বোরো ধানের বীজ তলা তৈরি করা হয়েছে। অনেকে আবার নদীর কোলে বিলের ধারে বীজতলা তৈরি ও পরিচর্যা করছেন। তুলনামূলক তাদের খরচ একটু কম হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার বীজতলা ভালো হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাশিদুল কবির জানান, চলতি বছরে এ উপজেলায় ২৬ হাজার ৭ শত ৯০ হেক্টর জমিতে বোরোধান চাষাবাদের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরে অর্জিত হয়েছে। বোরো ধানের লক্ষ্য মাত্রা অর্জনের জন্য এ বছর ১ হাজার ৩ শত ৬৪ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরির লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আদর্শ বীজতলা ৭৮ হেক্টর। বীজ তলার পরিমাণ আরোও বৃদ্ধি পাবে বলে সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে। ইতোমধ্যে বোরোধান চাষের জন্য প্রান্তিক পর্যায়ে ৬ হাজার ৮ শত জন কৃষকের মাঝে ধান বীজ বিনা মূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। কৃষকরা সেই বীজ দিয়ে বীজতলা তৈরি ও পরিচর্যার কাজ শুরু করেছে। বীজতলা যাতে সুন্দর ও সু¯’ হয় এজন্য আমাদের কৃষি বিভাগ থেকে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ সার্বক্ষণিক মাঠে কাজ করছেন।