মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৪৯ অপরাহ্ন

ভালোবাসার টানে চীনা যুবক কাজিপুরে মেয়েকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ 

টি এম কামাল
  • আপডেট সময় : 10:16 pm, সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪

প্রেমের টানে সুদূর চীন থেকে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে এসেছেন চেং নাং নামের এক যুবক। উপজেলার বিয়ারা গ্রামের মেয়ে অন্তরা খাতুনের সঙ্গে মুসলিম রীতিতে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তিনি। গত ২২ নভেম্বর নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করেন তারা। বিয়ে শেষে অন্তরা খাতুনের বাবা আব্দুর রশিদের বাড়িতে আসেন গত রোববার। বিষয়টি জানাজানি হলে চীনা জামাতাকে এক নজর দেখতে উৎসুক জনতা ভীর জমান।

জানা গেছে, বনিবনা না হওয়ায় গত ঈদুল আযহায় স্বামীকে ডিভোর্স দেন এক কন্যা সন্তানের জননী অন্তরা খাতুন। এরপরই চলে যান গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতে। সেখানে একটি রেস্টুরেন্টে চীনা যুবক চেং নাং এর সাথে দেখা হয়। সেখানে অন্তরাকে দেখে পছন্দ করেন চেং নাং। পরে মোবাইল নম্বর ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের আইডি আদান প্রদান হয়। তারপর কথা বার্তা, ভাবের আদান প্রদান, শুরু হয় প্রেম। চেং নাং বিয়ের প্রস্তাব দেন অন্তরাকে। পরে পারিবারিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমেই তাদের বিয়ে হয়। ভিন দেশী জামাতা পেয়ে খুশি অন্তরার পরিবারও।

অন্তরা খাতুন বলেন, ‘আমার মেয়েকে নিয়ে গাজীপুরের একটা রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম। সেখানে চেং নাং ও তার বন্ধুরাও যান। আমাকে দেখে সে পছন্দ করেন। পরে নম্বর আদান প্রদান হয়। তারপর প্রেমের সম্পর্কে জড়াই আমরা।’ অন্তরা বলেন, ‘আমি ডিভোর্সি মেয়ে এবং আমার একটা নয় বছরের মেয়ে আছে জেনেও সে আমাকে বিয়ে করতে রাজি হয়। পরে আমি বিষয়টি নিয়ে আমার পরিবারের সাথে কথা বললে তারা রাজি হন। আমি চেং নাংকে বলি আমাকে বিয়ে করতে হলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে হবে। পরে সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে আমরা বিয়ে করি। আমি খুশি চেং নাংকে বিয়ে করে।’

চীনা যুবক চেং নাং বলেন, ‘আমি অন্তরাকে বিয়ে করে খুশি। পরিবারও খুশি। কয়েকদিন পর তাকে চীনে নিয়ে যাবো।’ অন্তরা খাতুনের বাবা আব্দুর রশিদ বলেন, ‘প্রথমে আমাদের সন্দেহ ছিল তারা এডজাস্ট হতে পারবে কিনা। কিন্তু তারা যেহেতু এডজাস্ট হয়েছেন তখন আর দ্বিমত করি নাই। বিয়ের সম্মতি দিয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ আমরা খুশি।’ অন্তরার মা বলেন, ‘মেয়ে করবে সংসার, ভাগ্যে ছিল হয়ে গেছে। আমি দোয়া করি তারা সুখে সংসার করুক।’ আমিনুল ইসলাম নামের এক প্রতিবেশি বলেন, ‘এটাই প্রথম আমাদের কাজিপুরে। গতকাল তারা বাড়িতে এসেছে। লোকজন ভীর করছে তাদের একনজর দেখতে।’। 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই রকম আরো জনপ্রিয় সংবাদ
© All rights reserved © 2017 Cninews24.Com
Design & Development BY Hostitbd.Com