কুড়িগ্রামের সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পাঁচ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিছিল ও আলোচনা সভা করেছে শিক্ষার্থী -অভিভাবকরা।এই পাঁচ শিক্ষকের বিরুদ্ধে কলেজের ভাবমূর্তি নষ্ঠ, অপপ্রচার ও নানা অনিয়মের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। গত সোমবার কলেজ চত্বরে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-অভিভাবক কর্মসূচি পালন করে। জানাযায়, কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী ডিএইচএমএস পাস করে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হয়ে চিকিৎসা সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করছেন।জেলায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার কেন্দ্র হিসাবে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে এই কলেজটি।কলেজের পাঁচ শিক্ষক যথাক্রমে বাবুল রানা,শফিকুল ইসলাম, আব্দুর রফিক ,খগেন্দ্র নাথ বর্মন ও আখতারুজ্জামান নানাবিধ অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পরেছেন।অনিয়মিত কলেজে আসা-যাওয়া, কলেজ চলাকালীন সময় নিজেদের ব্যক্তিগত চেম্বারে বসে রোগী দেখা,জোরপূর্বক কলেজের অনুপস্থিত হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করা,অধ্যক্ষ সহ অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে উগ্র ব্যবহার করা, কলেজের নামে অপপ্রচার,শিক্ষক -ছাত্রীর রোমান্টিক চলাফেরা সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাদের পাঁচ জনের বিরুদ্ধে। এই পাঁচ শিক্ষককে ইতিপূর্বে কমিটি সর্তক করেছেন।তাদের বিরুদ্ধে কৈফত তলব করে পত্র জারি করা হলেও তারা সদুত্তর না দিয়ে আরো বেশি অপরাধ কর্মকাÐে জড়িয়ে পড়েন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষাথীরা বলেন,চিকিৎসা সেবা মহৎ পেশা তাই আমরা এই কলেজে ভালো কিছু শেখার প্রত্যাশায় আসি।অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষক শিক্ষক নামের কলংক। তাদের নিকট ভালো কিছু আসা করা যায় না।আমরা অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানাই। অভিভাবক গোলাম রব্বানী ও সোহেল রানা বলেন,এই পাঁচ শিক্ষক কলেজের সুনাম নষ্ঠের চেষ্টা করছেন। তাদের বিরুদ্ধে দূরুত্ব ব্যাবস্থা গ্রহন না করলে কলেজটি মারাত্বক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ইয়াকুব আলী বলেন,পাঁচ শিক্ষককের নিকট কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। তারা এখনো সদুত্তর দিতে পারেনি। বিধি মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্তা নেয়া হবে।কলেজের সহ-সভাপতি বলেন,কলেজের সকল শিক্ষক এই পাঁচ শিক্ষকের বিরুদ্ধে আমার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।ছাত্র-অভিভাবকরা মিছিল ও আলোচনা সভাও করেছে তাই বিষয়টির সঠিক সমাধান দরকার।অভিযুক্ত শিক্ষকরা বলেন,যারা আমাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে সময় আসলে তাদেরকেও আমরা দেখে নিবো।