হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ ও লাখাই উপজেলায় পৃথক সংঘর্ষে ওসিসহ শতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন। বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে ও মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতাল ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নোয়াগড় গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা শাজাহান মিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল একই গ্রামের বশির মিয়াসহ তাদের লোকজনের। বশির মিয়া নোয়াগড় মাদরাসা ম্যানেজিং কমিটির আহ্বায়ক। বুধবার তাদের মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির ফান্ডের টাকা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ,বি,এম মাঈদুল হাছান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণের এক পর্যায়ে আমি আহত হই। তবে পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।
ওসি বলেন-তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে লাখাইয়ে বাজার থেকে মাছ ক্রয় করাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৭০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা সদর ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার লাখাই বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মাছ ক্রয় করাকে কেন্দ্র করে স্বজন গ্রামের আব্দুল্লাহ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়ার পক্ষের লোকজনের সঙ্গে একই গ্রামের আবু মিয়ার ছেলে জিলু মিয়ার পক্ষের একজনের বাকবিতণ্ডা হয়।
এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৭০জন লোকজন আহত হয়। পরে খবর পেয়ে লাখাই থানার (ওসি) বন্দে আলীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
ওসি বন্দে আলী বলেন- লাখাই বাজারে মাছ কেনাবেচা নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।