কুড়িগ্রামের বালীচরে মাষকলাই ডাল চাষ করে ভালো ফলনের আশায় কৃষক-কৃষানীর মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। জেলার ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকায় অঞ্চল ভিক্তিক এই ডাল চাষ করা হয়েছে। এক মাসের মধ্যেই চাষি তাদের উৎপাদিত ডাল ঘরে তুলবেন এবং তা বাজারে বিক্রয় করে আর্থিক ভাবে লাভবান হবেন বলে আশা করছেন। জানাযায়, সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে বয়ে চলছে ধরলা,তিস্তা,বহ্মপুত্র,দুধকুমোর,ফুলকুমোর সহ ১৬ টি নদ-নদী। জেলায় রয়েছে প্রায় চার শতাধিক চর ও দ্বীপচর। চরে রয়েছে অনেক মানুষের বসবাস। নদীর সাথে রয়েছে তাদের গভীর মিতালি। তাই চরা অঞ্চলের মানুষ মৌসুম অনুযায়ী বালী চরে নানাবিধ ফসলের চাষাবাদ করে থাকেন। তারই ধারাবাহিকতায় এতদা অঞ্চলের ব্যাপক সমাদৃরিত মাষকলাই ডাল চাষ করে কৃষকেরা ভালো ফলনের আশা করছেন। গারুহারা চরের ময়না বেগম ও শকিনা বেওয়া বলেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথেই বালি চরে চাষ দিয়ে বীজ ছিটিয়ে দেই। তেমন কোন চাষাবাদ খরচ ছাড়াই তিন/সারে তিন মাসের মধ্যেই ফসল কেটে ঘরে তোলা যায়। মাষকলাই ডাল এর মাড়াই খরচ একেবারেই নাই বললেই চলে। ফলন ভালো হলে বিঘা প্রতি ১০/১২ মন ডাল উৎপাদন করা যায়। কুড়িগ্রাম যাত্রাপুর হাটের ডাল বিক্রেতা মহর আলি বলেন, পুষ্টি গুন ভালো এবং স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায় মাষকলাই ডাল এর চাহিদা বেশি। খোলা বাজারে মাষকলাই ডাল ১৫০-১৬০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি করা হয়। কুড়িগ্রাম কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ নাহিদা আফরীন বলেন- এবার সদর, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী ও রাজারহাট উপজেলায় মোট ৪৭০ হেক্টর জমিতে মাষকলাই আবাদ করা হয়। বন্যায় ১৬৪ হেক্টর জমির মাষকলাই ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সবমিলে ফলন আশানুরুপ পাওয়া যাবে।