সারা দেশে কোটা বিরোধী আন্দোলনে যত ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে তার মধ্যে নরসিংদী কারাগারে আক্রমণ করে ৮২৬ বন্দি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা অন্যতম। কারাগারে হামলার দ্বিতীয় ঘটনা হলো শিশু-কিশোর বন্দিদের আদালতের নির্দেশে আটক রাখার অন্যতম কারাগার টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রেও হামলা হয়েছে। তবে সেনাবাহিনীর দ্রুত হস্তক্ষেপের কারণে ৫৭৪ বন্দি ছিনিয়ে নিতে পারেনি দুর্বৃত্তরা।
গতকাল সোমবার (২৯ জুলাই) টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে এই তথ্য পাওয়া যায়।
শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র সূত্র জানায়, গাজীপুরের টঙ্গীতে থানা, বিদুৎ অফিস, সিটি করপোরেশন অফিসসহ বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি অফিসে হামলার ঘটনা ঘটে। একই সময় টঙ্গীর কলেজ গেটের বিপরীতে অবস্থিত শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রেও হামলা হয়। হামলাকারীরা টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে বন্দি শিশু কিশোরদের ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য প্রধান ফটক ভাঙার চেষ্টা করে। এ সময় ভেতর থেকে কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা চালায়।
পরিস্থিতির অবনতি হলে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জরুরী খবর দেন। খবর পেয়ে যৌথবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়ে হামলাকারীদের প্রতিহত করতে সক্ষম হয়। এ সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হেলিকপ্টারও ঘটনাস্থলে এসে দুর্বৃত্তদের হাত থেকে প্রতিষ্ঠানটি রক্ষা করে।
টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক মো. দেলোয়ার হোসেন কালের কণ্ঠকে এই সংবাদ নিশ্চিত করে বলেন, ‘দ্রুততম সময়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী হন্তক্ষেপ না করলে সর্বনাশ হয়ে যেত।
আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে যথাযথভাবে অবহিত করেছি।’
গাজীপুর সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আনোয়ারুল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক (তত্ত্বাবধায়ক) দেলোয়ার হোসেন হামলার বিষয়টি আমাকে জানান। আমি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।’