কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সীমান্তবর্তি এলাকার জিঞ্জিরাম নদীর ওপর ভাসমান সেতুর উদ্ধোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ভিডিও কনফারন্সর মাধ্যমে এ সেতুর উদ্বোধন করেন ২৮ কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ। এ সেতু নির্মানের ফলে জনোদুর্ভোগ থেকে রেহায় পেয়েছে পূর্ব কাউয়ারচর, পশ্চিম কাউয়ারচর,তেকানী গ্রাম, ধর্মপুর, নওদাপাড়া,চরবোয়ালমারী, হরিণধরা সহ ১২ গ্রামের ১৩হাজার মানুষ ও ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমলমতি শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয়রা বলছে, স্বাধীনতার ৫২বছর অতিবাহিত হলেও এ এলাকাটি ছিলো অবহেলিত। এখানে কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনাই। তিন দিকে জিঞ্জিরাম নদী অন্যদিকে ভারতের কাঁটাতার বেস্টিত সীমান্ত। ফসল চাষাবাদের জন্য জেতেহয় এ নদী পাড়িদিয়ে। যুগযুগ ধরে প্রাকৃতিক দূর্যোগ মাথায় নিয়ে ও জীবনের ঝুঁকিনিয়ে নৌকা দিয়ে পারাপার হতেহয়। সীমান্ত ঘেষা মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের চিত্র নির্বাচনিয় ফ্রিট করতে গিয়ে জানতে পারে নির্বাচীত হয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ ১২০ফুট দৈর্ঘের একটি ভাসমান সেতু নির্মান করে দেন সেতু দেওয়ায় এলাকার মানুষ অনেক আনন্দিত।
স্থানীয় বীরমুক্তিযোদ্ধা সোহরাব আলী বলেন, স্বাধীনতার ৫২বছর অতিবাহিত হলেও এ এলাকাটি অবহেলিত ছিলো। বিগত দিনে এ আসনে অনেক এমপি মুšী¿ ছিলো বিপ্লব হাসান পলাশ ছাড়া কেউ আমাদের খবর রাখেনাই। বিপ্লব হাসান পলাশ এমপি হওয়ার পর আমাদের এলাকায় উন্নয়ন হচ্ছে। তিনি মন্ত্রীহলে আমাদের অবহেলিত এলাকাগুলো আরো উন্নয়ন হতো।
পূর্বকাউয়ারচর গ্রামের মানিক মিয়া বলেন, এ সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় বিজিবি সদস্যদের সীমান্তে তাঁদের টহল জোরদার করতে পারবে। ফলে সীমান্ত দিয়ে মাদক ও গরু চোরাচালা কমে আসবে।
পশ্চিমকাউয়ারচর গ্রামের আব্দুল রাজ্জাক বলেন, আমাদের কৃষি পণ্য ও রোগীদের নিয়ে যাওয়া আশা অনেক কষ্ট ছিল। সাময়িক ভাবে ভাসমান সেতু হওয়ায় আমারা অতি সহজে রোগী ও কৃষি পন্য নিয়ে চলাচল করতে পারছি। আমরা এখানে স্থায়ী সেতু চাই।
২৮ কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ এমপি বলেন, প্রত্যান্ত ও সীমান্ত এলাকার মানুষ যেন সরকারের উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত না হয় সে জন্য ভাসমান সেতু দিয়ে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে। আগামীতে সেখানে স্থায়ীভাবে সেতু নির্মাণ করা যায় কিনা সেই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।