কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমারের পানি বইছে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি সামান্য কমলেও বেড়েছে ধরলা ও দুধকুমারের পানি। ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
দুধকুমারের ঢলের পানিতে নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙা ইউনিয়নের মিয়াপাড়ায় সড়ক ভেঙে ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জেলায় সাত হাজার হেক্টর জমির ফসল বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। চার শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্যার কবলে পড়েছে। এর মধ্যে ৩৬৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে।
এর মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ২৬৫টি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকাল ৬টায় কুড়িগ্রাম সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ও পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ব্রহ্মপুত্রের হাতিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন্টে ৬৭ ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নবেজ উদ্দিন সরকার জানান, এ পর্যন্ত ২৯০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
এর মধ্যে ২৬৫টিতে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। তিনটি বিদ্যালয় নদীগর্ভে চলে গেছে। আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ৩২টি বিদ্যালয়।
অপরদিকে জেলা শিক্ষা অফিসার শামসুল আলম জানান, জেলার ৭১টি মাধ্যমিক স্কুল ৩২টি মাদরাসায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে।