সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল রেখে হাইকোর্টের আদেশের প্রতিবাদে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় কাফনের কাপড় পরে মহাসড়কে অবস্থান নেয় তাঁরা।
আজ বুধবার (৩ জুলাই) সকাল ১১টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এদিকে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধের কারণে বরিশাল নগর ও খয়রাবাদ সেতু প্রান্তে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলা এবং ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় চলাচলকারী যানবাহনের যাত্রীদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে। তবে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি প্রয়োজনের যানবাহনের চলাচল স্বাভাবিক ছিল। গণপরিবহনের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করেও না পেয়ে পায়ে হেটে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন অনেকে।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সংবিধানের ২৯ নং অনুচ্ছেদে সুষ্পষ্টভাবে বলা হয়েছে ‘প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের ক্ষেত্রে সুযোগের সমতা থাকবে। এক্ষেত্রে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা, নন ক্যাডারে ৭১ শতাংশ, রেলওয়েতে ৮২ শতাংশ, প্রাইমারিতে ৬০ শতাংশ নারী কোটাসহ ৯৬ শতাংশ কোটা বিদ্যমান, যা সুষ্পষ্টভাবে সংবিধানের লঙ্ঘন এবং মানবাধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আমরা অবিলম্বে এই কোটা পদ্ধতির বাতিল চাই এবং বৈষম্যবিহীন একটা রাষ্ট চাই।’
কাফনের কাপড় পরা প্রসঙ্গে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী তামিম বলেন, ‘আসলে আমরা বেঁচে থাকলেও বৈষম্যমূলক কোটার কারণে আমরা অন্তর থেকে মরে গেছি।
সেই জায়গা থেকেই কাফনের কাপড় পরা। বিদ্যমান কোটা বাতিল করা হোক অথবা আমাদের সত্যিকারভাবেই মেরে ফেলা হোক।’
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী তারিক হোসেন বলেন, ‘আমরা চাই আগামী ৪ তারিখের শুনানিতে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল হোক। কিন্তু কোনোভাবে রায় পক্ষে না আসলে শিক্ষার্থীরা মেনে নেবে না। সারা দেশের সব কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বয়কট করে দিনরাত রাস্তাতেই কাটাবে।