সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চল মধ্যনগরে ঈদের পরদিন থেকে হওয়া বন্যার পানি এখনো পুরোপুরি নামেনি। উপজেলার বেশ কিছু অঞ্চল এখনো পানির নিচে রয়েছে। এরমধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর ৭২ ঘণ্টা ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়। পূর্ভাবাসের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আবার বাড়তে শুরু করেছে সোমেশ্বরী ও উব্দাখালী নদীর পানি।
ফলে ফের বন্যা হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে মানুষ।
গত ১৭ জুন সৃষ্ট বন্যায় উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে নিম্নাঞ্চলের অন্তত ৫০ হাজার মানুষ। আজ সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে সোমেশ্বরী ও উব্দাখালী নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৭.২৮ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের নিশিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘গত কয়েকদিন আগে হওয়া বন্যায় আমরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। আগের বন্যার পানি এখনো নামেনি, আবারো পানি বাড়ছে। এ যেন ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
একই ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলীপুর গ্রামের বাসিন্দা নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘বন্যার কারণে আমরা ঈদুল আজহার আনন্দ উপভোগ করতে পারিনি।
বন্যার পানি আমাদের সর্বশান্ত করেছে। এভাবে যদি আবারও বন্যার পানি বাড়তে থাকে। তাহলে আমাদের দুর্দশার কোনো শেষ হবে না।’
উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. নুর আলম বলেন, ‘গতকাল রবিবার সকাল থেকে নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। এর ফলে বন্যা হতে পারে, তবে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা হবে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অতীশ দর্শী চাকমা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘খবর নিয়েছি, নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। বন্যা মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে