কক্সবাজার জেলার মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। পরিকল্পনা প্রণয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণে জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের মতামতও গ্রহণ করা হচ্ছে। গতকাল সোমবার (১০ জুন) সকাল ১০টায় টেকনাফ বার্মিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন বাস্তবায়ন প্রকল্পের ডেপুটি টিম লিডার খন্দকার নিয়াজ রহমান।
এ সভায় সভাপতিত্ব করেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ মৌলভী মুজিবুর রহমান।
খন্দকার নিয়াজ রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, মহাপরিকল্পনায় প্রণয়ন সিদ্ধান্তে জনগণকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে সরাসরি মতামত গ্রহণ করা হচ্ছে। আমরা জেলার প্রতিটি উপজেলায় যাচ্ছি এবং সাধারণ জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে প্রক্রিয়াটি কিভাবে হবে সে বিষয়ে তাদের ধারণা দিচ্ছি এবং তাদের পক্ষ থেকে যে মতামত আসছে সেগুলো বিবেচনা করছি।
খন্দকার নিয়াজ রহমান আরো বলেন, প্রকল্পের সামগ্রিক উদ্দেশ্য হলো, কক্সবাজারকে একটি আধুনিক ও আকর্ষণীয় পর্যটন নগরী হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ভূমির যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করা, ভূমির ওপর যেকোনো প্রকৃতির অপরিকল্পিত উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ এবং উক্ত অঞ্চলের সুপরিকল্পিত উন্নয়ন নিশ্চিত করা। এ লক্ষ্যে পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলার পূর্ণাঙ্গ স্থাপনা পরিকল্পনাসহ মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা। এছাড়াও প্রকল্পের আওতায় টেকসই যাতায়াত ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, অবৈধ ও অপরিকল্পিত স্থাপনা অপসারণ, জল ও স্থলের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ, দূষণ প্রতিরোধ, বর্জ্য ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা, আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন সুবিধা নিশ্চিত করতে কক্সবাজার জেলার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার জেলার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন বাস্তবায়ন প্রকল্পটির আওতায় কক্সবাজার জেলার ৯টি উপজেলা এবং সমুদ্র সৈকত এলাকাসহ মোট ৬৯০.৬৭ বর্গ কিলো মিটার এলাকার ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান এবং সমগ্র কক্সবাজার জেলার ২৪৯১.৮৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকার জন্য স্ট্রাকচার প্ল্যান প্রণয়ন করা হবে।
কক্সবাজার জেলার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বদলে যাবে সমুদ্র নগরী কক্সবাজারের চিত্র। তখন ভিন্ন আঙ্গিকে সাজবে সাগর, পাহাড় ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ পুরো জেলা। পাল্টে যাবে সাগর জনপদের মানুষের জীবানাচার। অর্থনৈতিক অগ্রগতি পাবে নতুন মাত্রা। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) বাস্তবায়নাধীন কক্সবাজার জেলার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট (সিএসসি)।
বর্তমানে প্রকল্পের আওতায় জেলার ৯টি উপজেলায় মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে বিভিন্ন শ্রেণীর পেশাজীবি, জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে মতামত গ্রহণ ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ চলমান রয়েছে।