চট্টগ্রামের আনোয়ারায় হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে পুলিশ। এতে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে।
রোববার দুপুরে আনোয়ারা থানায় কর্ণফুলী থানার এসআই মিজানুর রহমান মামলাটি দায়ের করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে আনোয়ারা উপজেলার সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মেল হককে। যাকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল সেই মো.মোজাম্মেল হককেও আসামি করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, শনিবার রাতে কর্ণফুলী থানার একটি মামলার প্রধান আসামি মো. মোজাম্মেলকে টানেল রোডের মুখে অবস্থিত ভোজন বাড়ি রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তিনি পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করেন। তাকে গ্রেফতার না করতে সদ্য নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মেল হক ও তার অনুসারীরা কর্ণফুলী থানার ওসিকে বাধা দেন। ওসি তাদেরকে বাধা না দিতে বললে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করে ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলেও মামলায় অভিযোগ আনা হয়।
আসামিরা পরে মোজাম্মেলকে হ্যান্ডকাফসহ ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। পরে কর্ণফুলী থানা পুলিশ ফিরে যাওয়ার পথে চাতুরী চৌমুহুনী এলাকায় সড়ক আটকে আবার পুলিশের ওপর হামলা করা হয়। হামলায় কর্ণফুলী থানার ওসি জহির হোসেনের ডান হাতের কনিষ্ট আঙ্গুলের হাড় ভেঙে যায় এবং এসআই জয়নাল আবেদীন, এএসআই জাকির হোসেন ও কনস্টেবল জ্ঞানতোষ চাকমা আহত হন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) সোহানুর রহমান সোহাগ জানান, আনোয়ারা টানেল রোডের মুখে এবং চাতুরী চৌমুহনি এলাকায় দুই দফায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে মিছিলের প্রস্তুতি নেয়ার সময় আনোয়ার উপজেলার কাফকোর অদূরে বন্দর সেন্টার এলাকায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান এবং সাবেক ভূমি মন্ত্রী ও চট্টগ্রাম-১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়।
বিবাদমান পক্ষের মধ্যে আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ মান্নান সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের এবং কাজী মোজাম্মেল হক অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।