মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। কুকুরের কামড়ে এখন পর্যন্ত শিশু, বৃদ্ধসহ ২৪ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এক শিশুকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও তিনজনকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (৭ জুন) সকাল থেকে আজ শনিবার (৮ জুন) দুপুর পর্যন্ত গত দুই দিনে উপজেলা শহর ও শহরতলিতে কুকুরের কামড়ে ২৪ জন আহত হন।
আহতরা জানিয়েছেন, রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় হঠাৎ লাল রঙের কুকুর তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে কামড় দেয়। কামড় দেওয়া কুকুরের মুখ দিয়ে লালা ঝরতে দেখা গিয়েছে।
এদিকে কুকুরের কামড় বৃদ্ধির খবরে হাসপাতালে গিয়ে আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নিচ্ছেন শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. কামাল হোসেন, মানবাধিকারকর্মী মো. ছালিক আহমেদ, ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য ও মানবাধিকারকর্মী আমজাদ হোসেন বাচ্চু।
কুকুরের কামড়ে আহত চন্দ্রনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী রুহিত মিয়া জানান, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পর বাসা থেকে মৌলভীবাজার রোডের একটি দোকানে পেনসিল কিনতে গিয়ে হঠাৎ কুকুরের সামনে পড়ি।
কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই কুকুর দৌড়ে এসে আমার হাতে কামড় দেয়।
আরেক শিশু রায়হান মিয়া বলেন, সন্ধ্যার দিকে আমি বাসার গেটের সামনে ছিলাম। হঠাৎ কুকুরটি এসে হাতে কামড় বসিয়ে দেয়। পরে লাথি দিয়ে পা ছাড়াই।
কুকুরটি লাথি খেয়ে পালিয়ে যায়।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী জানিয়েছেন, জরুরি বিভাগে কুকুরের কামড়ে আহত ২২ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল থেকে তাদের চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
তবে বেওয়ারিশ কুকুরকে জলাতঙ্ক রোধে প্রতিষেধক টিকা দেওয়ার বিষয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কর্ণ চন্দ্র মল্লিক জানান, প্রতিষেধক টিকা বরাদ্দ না থাকায় আমাদের কার্যক্রম চালাতে পারছি না।
খুব শিগগিরই হয়তো পেয়ে যাব। কুকুর থেকে সতর্ক থাকতে মাইকিং করে সবাইকে সচেতন করা হবে।