সরকারিভাবে আমদানি করা ৫৮১ কোটি টাকার সার আত্মসাতের মামলায় নরসিংদী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পোটন ট্রেডার্সের মালিক কামরুল আশরাফ খান পোটনসহ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন আজ বুধবার (১৫ মে) এই আদেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো অন্য আসামিরা হলেন- পোটন ট্রেডার্সের মহাব্যবস্থাপক মো. শাহাদত হোসেন নিপু ও মো. নাজমুল আলম বাদল, পোটন ট্রেডার্সের উত্তরবঙ্গ প্রতিনিধি সোহরাব হোসেন এবং খুলনা ও নওয়াপাড়ার প্রতিনিধি মো. আতাউর রহমান।
দুর্নীতি দমন কমিশন -দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল কালের কণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ আইনজীবী বলেন, ‘সাবেক এমপি কামরুলসহ পাঁচজন গত বছরের ৬ ডিসেম্বর আদালত থেকে জামিন পান। এরপর আবেদনের প্রেক্ষিতে তিন দফা তাঁদের জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। আজও তারা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করেন। আদালত তাঁদের এই আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন
গত বছর ২৬ নভেম্বর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. রফিকুজ্জামান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। ২০২১ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে আত্মসাতের এ ঘটনা ঘটে। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বিদেশ থেকে ইউরিয়া সার আমদানি করলেও চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে সার বাফার গুদামে না দিয়ে ৫৮১ কোটি ৫৮ লাখ ৯ হাজার ৬৪ টাকার ৭১ হাজার ৮০১ টন ৩১ কেজি সার আত্মসাৎ করেছেন।
এতে আরো বলা হয়, কামরুল আশরাফ খানের মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পোটন ট্রেডার্সের ৫০ দিনের মধ্যে সার গুদামে পৌঁছে দেওয়া কথা ছিল। তা না করে সার ট্রানজিটে রয়েছে বলে বিসিআইসিকে মিথ্যা তথ্য দেয় প্রতিষ্ঠানটি।