বাংলাদেশের সঙ্গে নির্বাচনের আগে আমেরিকার যে অবস্থান ছিল সেই অবস্থান এখন আর নেই বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এমনটাই জানিয়েছেন সাবের হোসেন।
মন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ ও আমেরিকার মধ্যে যে সম্পর্ক আছে সেটি আগামীতে কীভাবে সুদৃঢ় করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়গুলো বাংলাদেশ কীভাবে মোকাবিলা করবে সে বিষয়েও পারস্পরিক আলোচনা হয়েছে।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ডোনাল্ড লু। দুই দেশ মিলে আগামীতে সুনির্দিষ্টভাবে পরিবেশ নিয়ে কোন কোন জায়গায় কাজ করা যায় সে ব্যাপারে ইতিবাচক আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
সাবের হোসেন বলেন, অতীত নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। বর্তমান সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাব। কিছু বিষয়ে আমাদের অবস্থান অভিন্ন। জলবায়ু ইস্যুতে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের যে সম্পর্ক আছে, এটাকে কীভাবে আগামীদিনে আরও এগিয়ে নিতে পারি এবং সেখানে স্বাভাবিকভাবে যে বিষয়গুলোতে আমাদের অবস্থান ভিন্ন যেমন জলবায়ু পরিবর্তন এবং সেটার অভিঘাত মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে দুই দেশ আরও কীভাবে কাজ করতে পারে, মূলত আমরা সেটা নিয়ে আলাপ করেছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুদেশের মধ্যে সম্পর্কের কিছু বিষয় আছে যার একটা স্থায়িত্ব থাকে। আবার কিছু কিছু বিষয় তৈরি হতে পারে, যেটা বিশেষ একটা প্রেক্ষাপটে তাদের কিছু অবস্থান থাকতে পারে। আমরা আজ যেটা আলাপ করেছি, আমাদের যে মৌলিক বিষয়গুলো আছে, যেগুলো আমরা মনে করি অভিন্ন, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে তাদের একটা দৃষ্টিভঙ্গি ছিল। তাদের হয়তো কিছু অস্বস্তি ছিল, কিন্তু সেটা তো আমাদের মধ্যে ছিল না। আমরা আমাদের নির্বাচন করেছি। সেটা ওই সময়ের জন্য তাদের একটা অবস্থান ছিল, আমি এভাবে দেখি। এখন তো ওই পর্বটা আর নেই। আবার ইলেকশন হবে চার বা সাড়ে চার বছর পরে। তো এখন তো ইলেকশনের বিষয়টি এই আলোচনায় ভ্যালিডেড না। আর আমি আমি প্রথমেই বলেছি, আমরা সামনের দিকে কীভাবে আমাদের সম্পর্কটাকে আরও সুদৃঢ় করবো, সেটা নিয়েই মূলত আলোচনা।