কুড়িগ্রামের প্রসিদ্ধ পশুর হাট যাত্রাপুরে গরু-মহিষ হাটিতে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছেন ইজারাদার। সরকারি মূল্যের চেয়ে গরু-মহিষ প্রতি অতিরিক্ত ৩’শ টাকা আদায় করায় সাধারণদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। প্রতি হাটে অতিরিক্ত অবৈধ বিপুল পরিমাণে খাজনা আদায় করলেও ইজারা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের বিষয়টি জানা নেই। জানা যায়, প্রতিবছরের ন্যায় এবারেও যাত্রাপুর হাটে ১ সনা ইজারায় বসেছেন পহেলা বৈশাখ ১৪৩১ নতুন ইজারদার গোষ্ঠিরা। এবারের কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা হাটের ইজারা আহŸান করলে বাহিরে আলাপ আলোচনা করে সরকারি ডাকের চেয়ে মাত্র ৫০ হাজার ৩’শ ১৩ টাকা বেশি ডাক দিয়ে প্রথম দফায় হাটের ইজারা বাগিয়ে নেয় ইজারদার সিন্ডিকেট গোষ্ঠি। পরে এই হাটে সমোঝোতাকারীগণ চার মাথায় ষোল আনায় অংশ বিভক্ত করে বর্তমান হাটের খাজনা আদায় করছেন। নতুন ইজারায় বসে গরু-মহিষের হাটিতে সরকারি ধার্য্যকৃত ক্রেতার নিকট গরু প্রতি ৫ শত টাকা নেয়ার পরেও গরু প্রতি অতিরিক্ত খাজনা বাবদ বিক্রেতার নিকট ৩ শত টাকা জোরপূর্বক আদায় করা হচ্ছে। গরু-মহিষ প্রতি উভয় পক্ষের নিকট হতে ৮ শত টাকা খাজনা আদায় করায় জন সাধারণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার পাশাপাশি কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে বিষয়টি। খাজনা প্রদান দুঃসাধ্য হওয়ায় অনেক গৃহস্থ, খামারী ও ব্যবসায়ীরা তাদের গরু-মহিষ অন্য হাটে তোলার পরিকল্পনা করছেন। শনিবার ১১ মে’২০২৪ইং হাটে গরু বিক্রি করতে আসা পাঁচগাছীর সৈয়দ আলী, মোগলবাসার আব্দুল হক বলেন- আমরা নিজেদের পালিত গরু এই হাটে বিক্রয়ের জন্য এনেছি। ইজারদার ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের নিকট হতে ৮ শত টাকা খাজনা আদায় করলেন। সরকারি ৫ শত টাকার চালান দিলেও বিক্রেতার নিকট নেয়া ৩ শত টাকার কোন চালান দেয়নি। হাটের ইজারদার শরীক মোঃ শাহ আলম বলেন- আমরা ক্রেতার নিকট সরকারি চালানের ৫ শত টাকা নেই। আর বিক্রেতার নিকট খুটের ৩ শত টাকা নেই। হাটের নিজস্ব জায়গা না থাকায় জমির ভাড়া বাবদ এই খুটের টাকা আদায় করা হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী সপ্তাহে প্রতি শনি ও মঙ্গলবার দু’দিন যাত্রাপুর হাট বসলে গড়ে ২’শ ৫০টি গরু-মহিষ কেনাবেচা হয় এই হাটে। সেই অনুযায়ী প্রতি হাটে শুধুমাত্র গরু-মহিষ হাটি থেকেই অতিরিক্ত খুটের টাকা ৭৫ হাজার টাকা খাজনা জোরপূর্বক উত্তোলন করা হয়ে থাকে। প্রতি হাটে জায়গার ভাড়া কতো টাকা দেয়া হয় তা জনসাধারণ জানতে চেয়েছেন প্রশাসনের নিকট। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুসফিকুল আলম হালিম বলেন- অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়টি আমাকে কেউ জানায় নি। ইজারাদার অতিরিক্ত খাজনা আদায় করলে বিধি সম্মত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।