কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ মোল্লারহাট এলাকার এক গৃহস্থ তার নিজ গৃহে পালিত বৃহত্তাকার গরু পাগলা হাতির দাম হাকিয়েছেন ৮ লক্ষ টাকা। এই গৃহস্থ এবারে কোরবানীর ঈদে বিক্রয়ের জন্য মোট ৪টি গরু লালন পালন করছেন। জানা যায়, মোল্লার হাট মুছল্লী পাড়া গ্রামের মোঃ আশেক নুর এর ছেলে মোঃ বেলাল হোসেন ও বেলালের স্ত্রী মোছাঃ সুফিয়া বেগম নিজ গৃহে কোরবানীর ঈদে বিক্রয়ের জন্য ৪টি উৎকৃষ্টমানের গরু লালন পালন করছেন। তাদের পালিত সর্ববৃহত্তর গরুটির নাম রেখেছেন পাগলা হাতি। যার দাম হাকিয়েছেন ৮ লক্ষ টাকা। এছাড়াও ব্রিটিশ ও বাষট্টি নামের গরু দুটির দাম হাকিয়েছেন ৭ লক্ষ এবং সাধু নামের গরুটির দাম হাকিয়েছেন ৬ লক্ষ টাকা। গরু পালক দম্পত্তি মনে করেন তাদের পালিত গরুগুলো এতদাঞ্চলের সর্ববৃহত্তর ও উৎকৃষ্টমানের হবে। আসছে কোরবানীর ঈদের আগে তাদের গুরু গুলো বিক্রয় করতে পারলে তারা তাদের প্রতাহিক দিবসের খরচ তুলে কিছু লাভবান হতে পারবেন। বেলাল হোসেন বলেন- আমি প্রায় ১০ বছর ধরে কোরবানীর ঈদে বিক্রয়ের জন্য দু’একটি করে গরু লালন পালন করে থাকি। এবার এক বছর ধরে এই গরু চারটিকে লালন পালন করছি। আমার স্ত্রী আমাকে এই গরু লালন পালনে উৎসাহ ও সাহস যুগিয়েছেন। তার সর্বাত্মক সহযোগিতায় অনেক আদর যতেœ গরু চারটি পালিত হচ্ছে। সুফিয়া বেগম বলেন- গরু ৪টি লালন পালন কষ্ট সাধ্য হলেও কোরবানীর ঈদে এগুলোকে ন্যায্য দামে বিক্রয় করতে পারলেন আমাদের কষ্ট আনন্দে পরিপূর্ণ হবে। মোল্লারহাট এলাকার বাসিন্দা রহিম উদ্দিন, জলিল মোল্লা, নওশের আলী বলেন- বেলাল ও তার স্ত্রী গরুগুলোর পিছনে অনেক পরিশ্রম করছেন। প্রতিদিন গরুগুলোকে খাওয়াতে তাদের অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। দাম ভালো পাবার আশায় তারা যতেœর সাথে গরু গুলোকে পালছেন। তাদের গরুগুলো ন্যায্য দামে বিক্রয় হলে আমরা এলাকাবাসী খুশি হবো।