সাধারণ নীতিমালা ছাড়া শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদ- আরোপ কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না এবং শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ড দেয়ার ক্ষেত্রে কেন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে না- প্রশ্নে জারি করা রুলের লিখিত আদেশ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চের স্বাক্ষরের পর রুলের লিখিত আদেশ প্রকাশ করা হয়েছে।
রিটকারী আইনজীবী এডভোকেট ইশরাত হাসান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রুলের সার্টিফায়েড কপি আজ হাতে পেয়েছি।
নীতিমালা প্রণয়ন করা ছাড়া বাংলাদেশের ফৌজদারি আইনে মৃত্যুদ-ের শাস্তির বিধান কেন অবৈধ হবে না- তা জানতে চেয়ে গত ৩০ জানুয়ারি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে আসামিদের মৃত্যুদ-ের সাজা দেয়ার ক্ষেত্রে কেন নীতিমালা তৈরি করা হবে না- তাও জানতে চাওয়া হয়। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
বাংলাদেশের ফৌজদারি আইনে মৃত্যুদ-ের শাস্তির বিধান চ্যালেঞ্জ করে
গত বছরের ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে রেসপনডেন্ট করা হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ-। কিন্তু এই মৃত্যুদ-ের বিধান সংবিধানের ৩২ ও ৩৫ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এছাড়াও জাতিসংঘ ঘোষিত ১৯৪৮ সালের মানবাধিকার সনদ, ১৯৬৬ সালের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং ১৯৮৪ সালের নির্যাতন বিরোধী কনভেনশনে মৃত্যুদ-কে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ এ সব দলিলে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে মৃত্যুদ- নিষিদ্ধ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ইতোমধ্যে বিশ্বের ১১২টি দেশ মৃত্যুদ- নিষিদ্ধ করেছে।
প্রধান সম্পাদক:- তোফায়েল হোসেন তোফাসানি, ক্রাইম নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (প্রা:) লি: কর্তৃক প্রকাশিত একটি অনলাইন পোর্টাল ও সংবাদ সংস্থা। অফিস- সি-৫/১, ছায়াবীথি, সাভার, ঢাকা-১৩৪০।ঢাকা অফিস- বাড়ি নং-১, রোড-২৮, সেক্টর-৭, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০
ইউএসএ অফিস- ২১৬২৮ ১৩৬ এভিনিউ ষ্প্রিংফিল্ড গার্ডেন, নিউইয়র্ক- ১১৪১৩, ইউএসএ। ফোন- ০২-৭৭৪১৯৭১, সেল- +৮৮০১৭১১০৭০৯৩১, +৮৮০১৩০০৫৫৫৪৪০, ই-মেইল- cninewsdesk24@gmail.com, news@cninews24.com