ফুল কে না ভালোবাসে! প্রতিটি মানুষেরই রয়েছে ফুলের প্রতি বিশেষ দুর্বলতা ও ভালোবাসা। একেক জন ব্যক্তির একেক রকমের ফুলের প্রতি পছন্দ রয়েছে। এজন্যই মহান সৃষ্টিকর্তা হরেক রকম ফুল দিয়ে পৃথিবীকে সৌন্দর্য্যমন্ডিত করে তুলেছেন। সেই প্রাচীনকাল থেকেই ফুল ভালোবাসা ও সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। ফুল দর্শনেই মানুষের হৃদয় ভালো হয়ে যায়। রাতের পর ফুটছে ভোরের আলো। ভোরের আলোয় সুর্যের কিরণ এসে পড়ছে গাছের প্রতিটি পাতায়। চারদিকে বিচিত্র রকমের দেশি-বিদেশি ফুলগাছ।
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনে প্রবেশ করতেই ভবনের সামনে চোখে পড়বে একটি নান্দনিক ফুল বাগান। ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে ওই বাগানে ফুটেছে হরেক রকম ফুল। সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে এ ফুল বাগানটি।
এ ফুল বাগানটি গড়ে তোলার মাধ্যমে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ও মোহাম্মদ নাসিম সেবা চত্বরে
সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে তুলেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী ও সাবেক ইউএনও সুখময় সরকার। ইতোমধ্যে এ বাগান ঘুরে মুগ্ধ হয়েছেন সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার আংশিক) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান সহ বিভিন্ন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
১ এপ্রিল (সোমবার) সরজমিনে দেখা গেছে-এ বাগানটিতে সাদা, কালো, হলুদ, সিঁদুরসহ ৮ রঙের গোলাপ ফুল রয়েছে। এছাড়াও বাগানটিতে পাউডার পপ, সেলভিয়া, লাল হেনা, জবা, ডালিয়া, বেলি, টেকনা, নীলকন্ঠ, বোতামপাম, টিকমা, মাইক ফউল, গাদাসহ ভিন্ন প্রজাতির ফুলগাছ।
কাজিপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী বলেন, উপজেলা পরিষদের ভিতরে মোহাম্মদ নাসিম সেবা চত্বরে ও উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণের সামনে ও দু’পাশে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলগাছ লাগিয়ে অফিসের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে কাজ করছি। উপজেলা পরিষদে আগত সেবাগ্রহীতারা ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারছে। সময় পেলেই আমি এ ফুল বাগানের পরিচর্যা করে থাকি