সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১১ অপরাহ্ন

নওগাঁর হাটচৌবাড়িয়া অবৈধ ইজিবাইক স্ট্যান্ডে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিষোগ সমিতির সভাপতি

নওগাঁ সংবাদদাতাঃ-
  • আপডেট সময় : 1:04 pm, সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০২৪

নওগাঁর মান্দা উপজেলার হাটচৌবাড়িয়া অবৈধ ইজিবাইক ও অটোরিকশা স্ট্যান্ডে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায়ের অভিষোগ উঠেছে অটোইজিবাইক সমিতির সভাপতি ওয়াহব ও সেকেটারী ডালিম হোসেনের বিরুদ্ধে। স্থানীয় ইজিবাইক সমিতির সদস্যরা জানান প্রতিদিন নিষিদ্ধ ইজিবাইক (অটোরিকশা) থেকে অবৈধ চাঁদাবাজি চলছে বীরদর্পে। চৌবাড়িয়া হাট থেকে নিয়ামতপুর উপজেলা, তানোর উপজেলা ও মান্দা উপজেলার
বিভিন্ন ইজিবাইক ও অটোরিশখা চলাচল কারীদের কাচ থেকে তুলা হয় এসব চাঁদার টাকা। সমিতির সভাপতি ও সেকেটারী চাঁদাবাজরা মান্দা উপজেলার প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদকে অনেকটা বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেই প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছে কয়েক লাখ টাকা। এই হাটচৌবাড়িয়া সড়কের চলাচলরত সাধারণ ইজিবাইক চালকরা এসব চাঁদাবাজদের হাতে একেবারে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এই সড়কে চলাচলরত ইজিবাইজ চালক ও সাধারণ যাত্রীদের প্রশ্ন এসব দূর্ধর্ষ চাঁদাবাজদের রুখবে কে। গতকাল রবিবার হাটচৌবাড়িয়া স্ট্যান্ডে সরেজমিন ঘুরে এসব ইজিবাইক চাঁদাবাজদের দৌরাত্মের কাহিনী জানা যায়। এই সড়কে চলাচলরত সাধারণ ইজিবাইক চালকগণ তাদের নাম না প্রকাশের শর্তে জানান,
হাটচৌবাড়িয়া স্ট্যান্ডের সড়কে চলাচল করতে হলে প্রতিটি ইজিবাইক চালককে স্ট্যান্ডে ২০ টাকা করে প্রতিদিন দিতে হয়। এবং স্ট্যান্ডে গাড়ি যানজট নিরসন করার জন্য একজন ভলেনটিয়ারকে দিতে হয় ১০টাকা করে। সর্বমোট এই সড়কে প্রতিদিন ৩০টাকা করে দিতে হয় প্রতি ইজিবাইক চালকদের। এই সড়কে ইজিবাইক গাড়ির সংখ্যা আনুমানিক ৩ শটির মত ও অটোরিকশার সংখ্যা ৪০০ । প্রতিদিন চাঁদার টাকা আদায় হচ্ছে প্রায় ২১ হাজার টাকা যা প্রতি মাসে দাড়ায় প্রায় ৭ লাখ টাকা। সূত্র মতে জানাযায় হাটচৌবাড়িয়া এলাকায় প্রতিদিন হরদম চলছে সরকার নিষিদ্ধ এসব অবৈধ ইজি বাইক ও অটোরিকশা। রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে এ সকল ইজিবাইক ও অটোরিকশার নেই কোন প্রকার লাইসেন্স কিংবা অনুমোদন। উপজেলা পরিষদ কিংবা ইউনিয়ন থেকে এসব অবৈধ ইজিবাইক ও অটোরিকশা চলাচলে কোনো অনুমোদন দেওয়া হয় না বলে নিশ্চিত করেছে উপজেলা প্রশাসন হাটচৌবাড়িয়ার স্থানীয় ইজিবাইক ও অটোরিকশা সমিতির সভাপতি ওয়াব এবং সেকেটারী ডালিম হোসেন সরকার নিষিদ্ধ এসব অবৈধ ইজিবাইক ও অটোরিকশার স্ট্যান্ড বসিয়ে প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজি করছে আর তার বিনিময়ে প্রতিমাসে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এই চাঁদার টাকার রাজস্ব পাচ্ছে না জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ। মূলত তাদের শেল্টারেই চলে এই ইজিবাইকের স্ট্যান্ডে। প্রতিদিন সমিতির সভাপতি ওয়াহব ও সেকেটারী ডালিম হোসেন এই চাঁদার টাকা তোলেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত সমিতির সভাপতি ওয়াহব ও সেকেটারী ডালিম হোসেন জানান আমরা কোন ইজিবাইক ও অটোরিকশা সমিতির নামে চাঁদা তুলিনা। এব্যাপারে মান্দা থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোঃ মোজাম্মেল হক কাজি বলেন চাঁদা আদায়ের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তবে
এখন মান্দা থানায় কোন ইজিবাইক ও অটোরিকশা স্ট্যান্ড নেয় যদি কেউ এরকম ইজিবাইক ও অটোরিকশা স্ট্যান্ড বসিয়ে চাঁদা বাজি করে তাহলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই রকম আরো জনপ্রিয় সংবাদ
© All rights reserved © 2017 Cninews24.Com
Design & Development BY Hostitbd.Com