জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার পশ্চিমে সীমান্তবর্তী চর জামিরা এলাকায় ও সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের মাঝে নদীর উপর নির্মিত সেতুটি ভেঙে পড়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। নির্মাণের এক বছর পরেই ৩ টি পিলার মাটিতে দেবে গেলে সেতুটি একদিকে হেলে পড়ে। এ ছাড়াও বন্যার পানির স্রোতে সেতুর উভয় পাশে ভেঙ্গে সৃষ্টি হয়েছে বিরাট খাদ। ফলে, সেতুটি ব্যবহার করতে পারছেন না সাধারণ জনগণ।
সূত্রে জানা গেছে, এলাকাবাসীর যৌথ প্রচেষ্টায় গাছ সংগ্রহ করে একটি সাঁকো তৈরি করে। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো দিয়ে চলাচল ও কৃষিজাত পণ্য পার করছেন স্থানীয়রা। সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল অর্ধকোটি টাকা। অথচ ঠিকাদারের অপরিপক্বতা ও ইঞ্জিনিয়ারের পরিকল্পনায় ভুল থাকায় এমনটি হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। নদীর দুই তীরে প্রায় লক্ষাধিক লোকের বাস। সেতুর দুই পাড়ে রয়েছে ২টি বাজার, ২টি হাইস্কুল ও ১টি দাখিল মাদ্রাসা। প্রতিদিন শত শত মানুষ এই পথে যাতায়াত করে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যায়। চাষাবাদের কৃষিজাত পণ্য পরিবহন খুবই কষ্টসাধ্য। বিশেষকরে, দুর্গম এলাকা বলে অনেক মুমূর্ষু রোগী হাসপাতালে নেওয়ার আগেই পথিমধ্যে মারা যায়।
স্থানীয় সাবেক ইউপি মেম্বার আনোয়ার হোসেন সেতুটি সংস্কার অথবা পুনর্নির্মাণের দাবি জানান।
ঠিকাদার আবদুল বারী বলেন, সেতুটি যাতায়াতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই নদীর উপর বক্স কালভার্ট ব্রিজ দেওয়া ঠিক হয়নি। কাজিপুর উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন মুঠোফোনে বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি। আমি খোঁজ নিয়ে জানাব এবং ব্যবস্থা নেব।