জেলার ব্রাক্ষণপাড়া উপজেলার এলাকায় বোরো চারার ক্রেতা বিক্রেতায় জমে উঠেছে ধানের চারার হাট। সপ্তাতে বৃহপ্রতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতায় মুখরিত থাকে হাটটি। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা ও আশপাশ জেলা থেকে কৃষক আসেন এ হাটে ধানের চারা কিনতে। প্রতিদিন এ বাজারে প্রায় কয়েক লাখ টাকার চারা বিক্রি করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, কুমিল্লা-মিরপুর সড়কের সাহেবাবাদ এ ধানের চারার হাটটি বেশ পুরোনো। বোরো মৌসুমে ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত থাকে এ হাটটি। বৃহপ্রতিবার সকাল ৮টা থেকে রাত বিকেল পর্যন্ত এ হাটে ধানের চারা বেচা-বিক্রি হয়। সরেজমিন দেখা গেছে, ক্রেতারা বাজারে ঘুরে ঘুরে তাদের পছন্দসই ধানের চারা কিনছেন। বিক্রেতারাও তাদের চারার প্রকারভেদে দাম চাচ্ছেন। এ হাটে ধানের চারা আটি ভেদে বিক্রি করা হয়। ছোট চারার আটি প্রকারভেদে ৭০ টাকা থেকে ১২০ ও বড় চারার আটি প্রকারভেদে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বিক্রি করা হয়। ধানের চারা কিনতে আসা জেলার বুড়িচং উপজেলার অব্দুল করিম বাসসকে বলেন, বোরো মৌসুমে এ ধানের চারার বাজারটি বেশ জমজমাট হয়। আমি গত কয়েক বছর ধরে আমার ৬ কানি জমিতে রোপণ করার জন্য এ বাজার থেকেই চারা কিনি। ২৮ আটি চারা ২ হাজার ৮২০ টাকা দিয়ে কিনেছি। এ চারা দিয়ে দেড় কানি জমি রোপণ করতে পারব। পাশর্^বতী ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা থেকে আসা কৃষক আবিদ মিয়া বাসসকে বলেন, তিনি দুই কানি জমির জন্য চারা কিনবেন। চারা বিক্রেতারা প্রকারভেদে চারার দাম চাচ্ছেন। চারার দাম আমাদের নাগালেই মধ্যেই আছে। প্রকার ভেদে ছোট চারা প্রতি আটি ৮০ টাকা থেকে ১২০ ও বড় চারার আটি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা দাম চাচ্ছেন বিক্রেতারা। এ চারার হাটে কোনো দালাল নেই। সড়কের পাশে বাজারটি হওয়ায় যানবাহনও সহজে পাওয়া যায়। বাজারে চারা বিক্রি করতে আসা সোহেল মিয়া বলেন, বোরো মৌসুমে এ ধানের চারার হাটটি ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত থাকে। এ হাটে যে কেউ চারা বিক্রি করতে পারে। তিনি বলেন, দেড় কানি জমিতে বীজতলা করেছি। দেড় কানি জমি বীজতলা করতে তার ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তিনি জমিতেই পাইকারের কাছে ৪৫ হাজার টাকায় চারা বিক্রি করেছেন। এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, এ হাটে ধানের চারা বেচা-বিক্রি হয়। এ বাজারে মানসম্মত চারা পাওয়া যাওয়ায় আশপাশ জেলা থেকেই কৃষকরা আসেন চারা কিনতে। তিনি বলেন, উন্নত বীজতলা তৈরির জন্য আমরা কৃষকদেরক প্রশিক্ষণ দিয়েছি।