বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করতে চাইলে চূড়ান্ত বিপ্লবের ডাক আসবে: আসিফ কাজিপুরে সোনামুখী ফাজিল মাদ্রাসায় শতাধিক ঔষধি গাছের চারা রোপণ পৃথিবীর সুরক্ষায় ‘জিরো কার্বন’-ভিত্তিক জীবনধারার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার বৈশ্বিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর আহ্বান ড. ইউনূসের তামিম ফিরছেন বিপিএলের আগেই জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা ধরে রাখতে চাই : ইশরাক হোসেন বিপ্লবী কারা, জানালেন হাসনাত আব্দুল্লাহ ভাস্কর্য-ম্যুরাল ভাংচুর ও বঙ্গবন্ধুর ছবি অপসারণ কেন, জানালেন উপদেষ্টা মাহফুজ অন্তর্বর্তী সরকার যত দিন চাইবে, ততদিন সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে

জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণার রায় বহাল

সিএনআই নিউজ
  • আপডেট সময় : 1:50 pm, রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৩

রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে দলটির করা আপিল আজ রবিবার খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। শুনানিতে আপিলের পক্ষে আইনজীবী না থাকায় রবিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এ আদেশের ফলে এক দশক আগে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন, সে রায়ই বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী দলটির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আবেদন শুনানির জন্য ছিল। এর সঙ্গে বিচারাধীন বিষয় উপেক্ষা করে নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবির অভিযোগে কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনটিও ছিল শুনানির জন্য। কয়েক দফা শুনানি পেছানোর পর গত ১২ নভেম্বর আদালত তারিখ দিয়েছিলেন। সে ধারাবাহিকতায় রবিবার বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে।
আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তানিয়া আমীর ও আহসানুল করিম।

জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন চ্যালেঞ্জ করে রিটকারী তরীকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ কয়েকজন সম্প্রতি দুটি আবেদন করেন। একটি আবেদনে লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়। আরেকটি আবেদনে বিচারাধীন বিষয় উপেক্ষা করায় দলটির নেতাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনার আরজি জানানো হয়।

গত ২৬ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন দুটি উপস্থাপন করা হয়। সেদিন চেম্বার আদালত আবেদন দুটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন। সে ধারাবাহিকতায় গত ৩ আগস্ট আবেদন দুটি আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ওঠে। এর মধ্যে ৪২ ব্যক্তি আবেদন দুটিতে পক্ষভুক্ত হতে আবেদন করেন। এই ৪২ ব্যক্তির মধ্যে আছেন, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, অধিকার কর্মী ও আইনজীবী।

২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতকে সাময়িক নিবন্ধন দেওয়া হয়। এর পরের বছরই বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন।

এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের লঙ্ঘন ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। সে রুলটি যথাযথ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করা হয়। তবে এ রায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াত ইসলামী আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করলে ওই বছর ৫ আগস্ট তা খারিজ হয়। পরে ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পেলে রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে জামায়াতে ইসলামী। সে আপিলে পক্ষভুক্ত হয়ে জামায়াতের নিবন্ধনের পক্ষে গত ১ আগস্ট আবেদন করেন ৪৭ ব্যক্তি।

হাইকোর্টের রায়ের পর ওই সময় বিএনপির জোট জামায়াতের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দশম, একাদশ সংসদ নির্বাচনেও অংশ নিতে পারেনি জামায়াতে ইসলামী। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০১৭ সালের মার্চে জামায়াতের জন্য বরাদ্দ দাঁড়িপাল্লা প্রতীক তালিকা থেকে বাদ দিয়ে গেজেট জারি করে নির্বাচন কমিশন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই রকম আরো জনপ্রিয় সংবাদ
© All rights reserved © 2017 Cninews24.Com
Design & Development BY Hostitbd.Com