মাঙ্কিপক্স নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ভয়াবহ এ রোগটি পৃথিবীর ১৪ টি দেশে ইতিমধ্যেই হানা দিয়েছে।বাংলা দেশেও সকল বিমান বন্দরে সতর্কাবস্থা জারি করেছে সরকার। কিন্তু, বিগত দিনের অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের এ ধরনের দুরারোগ্য ব্যাধি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ বেশীরভাগই স্বাস্থ্য সচেতন নয়। যা আমরা কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে দেখেছি। তারপরেও করোনা মোকাবেলায় আমরা সফল হয়েছি।আজ এই সফলতার জন্য মৃত্যুহীন দিন যাচ্ছে বাংলাদেশে।
মাঙ্কিপক্স নিয়ে বাংলাদেশের সরকারের কাছ থেকে নির্দেশ আসলেই শুধু হবে না।এই নির্দেশকে বাস্তবে কাজে লাগাতে হবে। বিমান বন্দর ও সীমান্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের সঠিক পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে হবে স্বাস্থ্য তথ্য। সেখানে যাত্রীরা উপসর্গ আছে কি না, যেসব দেশে মাংকিপক্স বাড়ছে সে দেশ থেকে যাত্রী আসছে কি না সেসব তথ্য নিয়ে কাজ করতে হবে।
ডাব্লিউএইচও এবং অংশীদাররা মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাবের পরিমাণ এবং কারণ আরও ভালভাবে বোঝার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ভাইরাসটি বেশ কয়েকটি দেশের কিছু প্রাণীর জনসংখ্যায় স্থানীয়, যা স্থানীয় মানুষ এবং ভ্রমণকারীদের মধ্যে মাঝে মাঝে প্রাদুর্ভাবের দিকে পরিচালিত করে। এখন পর্যন্ত ১১টি দেশে রিপোর্ট করা সাম্প্রতিক প্রাদুর্ভাবগুলি অস্বাভাবিক, কারণ সেগুলি অ-স্থানীয় দেশগুলিতে ঘটছে৷
এখনও পর্যন্ত প্রায় ১১ টি দেশের ৮০ জনের মধ্যে মাঙ্কিপক্স পাওয়া গেছে। এই সংক্রমন খুবই ভয়াবহ এবং দ্রুত ছড়িয়ে পরার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ডাব্লিউএইচও আক্রান্ত দেশ এবং অন্যদের সাথে কাজ করছে তাদের খুঁজে পেতে যারা মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত।
মাঙ্কিপক্স কোভিড-১৯ এর মত ছাড়ায় না। এর থেকে ভিন্নভাবে ছড়ায়। রোগের লক্ষণ ও প্রাদুর্ভাবের উপর গবেষনা করে ডাব্লিউএইচও নতুন নতুন তথ্য দিচ্ছে।
যারা এ ধরনের সংক্রামক ব্যক্তির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ করে তাদের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি: এর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যকর্মী, পরিবারের সদস্য এবং যৌন অংশীদাররা।
যে কারণে শুধু বিমান বন্দরে সতর্কতা দিয়ে মাঙ্কিপক্স ঠেকানো যাবে না। নজর রাখতে হবে স্বাস্থ্যকর্মী, যৌনকর্মী এবং আক্রান্ত দেশের উপর। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের উপরও নজরদারি বাড়াতে হবে।