
অনলাইন ডেস্ক, সিএনআই নিউজ :
“আমাদের গাড়িও ওদের ওখানে যাবে। ওদের গাড়িও আমাদের এখানে আসবে।” শুক্রবার উত্তরকন্যায় বৈঠকের পর পবন চামলিংকে পাশে বসিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথা ঘোষণা করার পরই বাংলার গাড়ি সিকিমে চলাচল নিয়ে জটিলতার অবসান ঘটতে চলেছে। এ নিয়ে দু’রাজ্যের আধিকারিক স্তরে আলোচনা করে সমস্যা মেটানো হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে সেবক-রংপো রেলপথ নিয়েও রাজ্য সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই অঞ্চলের পর্যটনের ক্ষেত্রে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হওয়ায় যথেষ্টই খুশি পর্যটন মহল।
দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গের গাড়ি সিকিমে চলাচল নিয়ে সিকিম সরকারের তরফে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এরাজ্য থেকে পর্যটকদের নিয়ে গেলে গ্যাংটক বাসস্ট্যান্ড পর্যন্তই যাওয়ার অনুমোদন মেলে। এমনকী পর্যটকদের হোটেলেও নামানোর অনুমতিও দেয় না সিকিম প্রশাসন। ফলে পর্যটকদের হয়রানির শিকার হতে হয়। পেলিং বা অন্যত্র গেলেও একইভাবে আটকে দেওয়া হয় বাংলার গাড়িকে। মোটা টাকা জরিমানাও করা হয় যত্রতত্র। এনিয়েই সরব হয়েছে ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন বা এতোয়া। দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানায় এতোয়া। এদিন বৈঠকের পর গাড়ি চলাচল নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দুটো রাজ্য নিজেদের সমস্যা আলোচনায় মেটাবে। আমাদের ডিজি, আইজি আছেন। ওদেরও প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, এডিজি ও আইজি এসেছেন। তাঁরা নিজেদের মধ্যে কথা বলে এগুলো ঠিক করবেন।” সিকিমের সরকারি আধিকারিকরাও জানিয়েছেন, সমস্যা থাকলে তা দু’রাজ্যের মধ্যে আলোচনা করে মেটানো হবে। জটিলতা কাটতে চলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছে এতোয়া। সংগঠনের সভাপতি দেবাশিস মৈত্র জানিয়েছেন, “এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে তা পর্যটন শিল্পের পক্ষে ইতিবাচক হবে।”
একইভাবে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর হাতেই শুরু হওয়া সেবক-রংপো রেল পথ নিয়েও রাজ্য যে পূর্ণ সহযোগিতা করবে তাও জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০০৯ সালে শুরু হয়েও পরিবেশগত কারণে মামলা হওয়ায় ৪৫ কিলোমিটার রেলপথ স্থাপনের প্রকল্পটির কাজ আটকে যায়। পরে সুপ্রিম কোর্ট থেকে ছাড়পত্র মেলায় প্রকল্পের কাজ শুরু করতে উদ্যোগী হয় রেল। এনিয়ে রাজ্যের সহযোগিতা চেয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা চাই প্রকল্পটির অগ্রগতি হোক। এটা হলে পর্যটকরা খুশি হবে। আমাদের দিক থেকে পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে।” মুখ্যমন্ত্রী এহেন অবস্থানে আশাবাদী রেলও। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) এনকে প্রসাদ বলেন, “আমরা রাজ্যের সহযোগিতা চাই। জমি পাওয়া গেলেই প্রকল্পের কাজ শুরু করব।”
প্রধান সম্পাদক:- তোফায়েল হোসেন তোফাসানি, ক্রাইম নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (প্রা:) লি: কর্তৃক প্রকাশিত একটি অনলাইন পোর্টাল ও সংবাদ সংস্থা। অফিস- সি-৫/১, ছায়াবীথি, সাভার, ঢাকা-১৩৪০।ঢাকা অফিস- বাড়ি নং-১, রোড-২৮, সেক্টর-৭, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০
ইউএসএ অফিস- ২১৬২৮ ১৩৬ এভিনিউ ষ্প্রিংফিল্ড গার্ডেন, নিউইয়র্ক- ১১৪১৩, ইউএসএ। ফোন- ০২-৭৭৪১৯৭১, সেল- +৮৮০১৭১১০৭০৯৩১, +৮৮০১৩০০৫৫৫৪৪০, ই-মেইল- cninewsdesk24@gmail.com, news@cninews24.com