টি এম কামাল : সিরাজগঞ্জে নির্মাণাধীন ট্রমা হাসপাতালের নির্মাণ কাজ
পরিদর্শন শেষে মঙ্গলবার বিকেলে সংক্ষিপ্ত এক সমাবেশে এই হাসপাতালে নাম
‘শেখ হাসিনা ট্রমা হাসপাতাল’ নামকরণের প্রস্তাব করেছেন আওয়ামীলীগের
প্রেসিডিয়াম সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম
এমপি। তিনি বলেছেন-শেখ হাসিনা ট্রমা হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শেষ হলে
এটি হবে উত্তরাঞ্চলের দুর্ঘটনায় আহত মানুষের উন্নত চিকিৎসার নির্ভরযোগ্য
প্রতিষ্ঠান। বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপারে সয়দাবাদ ইউনিয়নের মুলিবাড়িতে
নির্মাাধীন এই হাসপাতালের নির্মাণ কাজে ব্যয় হচ্ছে প্রায় এগার কোটি
টাকা। ১৮ মাসে এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর
ভাঙ্গন থেকে মানুষকে রক্ষা করেছেন, মেডিকেল কলেজ স্থাপন করেছেন, চার লেন সড়ক
নির্মানসহ অনেক মেঘা প্রকল্পে উন্নয়ন কাজ করেছেন। মমতাময়ী এই নেত্রীর
নামেই সিরাজগঞ্জে ট্রমা হাসপাতাল নামকরণ সময়ের দাবী। তিনি এ জন্য স্বাস্থ্য
মন্ত্রনালয়ে পত্রও পাঠিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন। এর আগে তিনি মুলিবাড়িতে
জাতীয় নেতা শহীদ এম মনসুর আলীর প্রতিকৃতিতে পুস্পার্ঘ অর্পন করেনএবং
পরে মনসুর আলী স্মৃতিবিজড়িত কুড়িপাড়ায় রতনকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ
আয়োজিত ইফতার মাহফিলে যোগ দেন।
ঢাকা থেকে সড়ক পথে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে মুলিবাড়িতে ট্রমা হাসপাতাল
নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নেরে জবাবে মোহাম্মদ
নাসিম বলেছেন, শিশু ও নারী নির্যাতনের অপরাধীদের বিশেষ ট্রাইবুনাল করে
বিচারের মাধ্যমে তাদের ফাঁসি দিতে হবে। তবেই এদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন
ধর্ষণ বন্ধ হবে। নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সমালোচনা করে মোহাম্মদ
নাসিম বলেছেন, বর্তমান সরকার জঙ্গী দমন করেছে, মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা
করেছে, সেখানে এদেশে নারী নির্যাতন শিশু ধর্ষণ চলতে পারেনা
মোহাম্মদ নাসিম তাড়াশের কলেজ ছাত্রী রুপা ধর্ষন ও হত্যা ঘটনার উল্লেখ করে
বলেন, ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি হওয়া উচিৎ মৃত্যুদন্ড। যারা ঘটনার স্বীকার করবে শুধু
দ্রুত বিচার নিশ্চিত করে তাদের ফাঁসি দিতে হবে। তা ছাড়া এ অপরাধ কমানো
সম্ভব না। এই খুনীদের কোন ভাবেই রেহাই দেয়া সম্ভব না। তা হলেই মাত্র বর্তমান
সরকারের সুনাম হবে। এসময় স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্বাবায়ক প্রকৌশলী
আব্দুল হামিদ নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন, সিরাজগঞ্জ চেম্বারের
প্রেসিডেন্ট আবু ইউসুফ সুর্য্য, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক
সম্পাদক আব্দুল বারী তালুকার, প্রচার সম্পাদক শামসুজ্জামান আলো,
স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক জিহাদ আল ইসলাম, রাশেদ ইউসুফ জুয়েল
প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।