লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইযুব আলীর জৈষ্ঠ পুত্র মওদুদ আহমেদ জুয়েল তথ্য গোপন করে আবারও ২য় বিয়ে করেছেন। আর এ ঘটনাটি সম্প্রতি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় টক অব দ্যা টাউনে আদিতমারী পরিণত হয়েছে। মওদুদ আহমেদ জুয়েল উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের বড়াবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। এছাড়া তিনি নামুড়ী মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন নিকাহনামা সূত্রে জানাগেছে, গত বছরের ২০ ডিসেম্বর মওদুদ আহমেদ পলাশী ইউনিয়নের মৃত ইব্রাহীম মিয়ার মেয়ে রাশেদা খাতুনকে ৫ লক্ষ টাকা দেনমোহর নির্ধারন করে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে তথ্য গোপন করে এটিই তার প্রথম বিবাহ উল্লেখ করে বিয়ে রেজিষ্ট্রি করেন। আর বিয়ে রেজিষ্ট্রি করা হয় রংপুর কাজী অফিস। যার ঠিকানা উল্লেখ করা হয়, ২০ নং ওয়ার্ড, মূলাটোল,থানাঃ কোতয়ালী, জেলা ঃ রংপুর। আর ওই দিনই লিটন মিয়া নামের একজন মৌলভী দিয়ে বিয়ের পড়ানোর কাজটি শেষ করা হয়। লিটন মিয়া রংপুর কেরানীপাড়া এলাকার মৃত-আব্দুল জলিলের ছেলে বলে জানাগেছে। এদিকে আদিতমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইযুব আলীর জৈষ্ঠ পুত্র মওদুদ আহমেদ জুয়েল এর বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় চলছে নানা সমালোচনার ঝড়। মওদুদ আহমেদ জুয়েল এর প্রথম স্ত্রীর ঘরে দুটি সন্তান রয়েছে বলে জানাগেছে। এছাড়া তার প্রথম স্ত্রী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। রাশেদা সাংবাদিককে জানান, গার্মেন্টস চাকুরী করার সুবাদে তার সাথে পরিচয় হয় এবং আমাকে ফুসলিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে আগের স্বামীকে ছেড়ে আসার জন্য চাপ প্রয়োগ করে পরে এক পর্যায়ে ২য় স্বামী ছেড়ে তার এখানে এসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই । এখন সে আমাকে আর কোন পাত্তা দিচ্ছেনা এমনি কি সংসার চালানোর জন্য কোন প্রকার অর্থ খোজ-খবর পর্যন্ত নিচ্ছেনা। সে আরও জানান, গার্মেন্টসে চাকুরী করার সুবাদে যে অর্থ রোজগার করেছিলাম সেটাও জুয়েল নিয়ে গেছে। আমাকে যে মিথ্যা কথা বলে ১ম স্ত্রী হিসেবে রেজিস্ট্র করে বিয়ে করেছিল আমি এখন সেই স্বীকৃতিই চাই। না হলে আইনের আশ্রয় নিবেন বলে জানান। এদিকে তালাকপ্রাপ্ত হিসেবে রাশেদাকে বিয়ে করেন মওদুদ আহমেদ। কিন্তু রাশেদার সংসারে দুটি সন্তান থাকলেও রাশেদার স্বামী মোবাইল ফোনে এ প্রতিনিধিকে বলেন, রাশেদা মওদুদকে বিয়ের পূর্বে আমাকে ডিভোর্স করেনি। তাই তিনি তাদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিবেন বলে দাবী করেন। নামুড়ী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ এ,এম,এইচ শরীফ মাহমুদ জানান, তিনি তার বিয়ের বিষয়টি শুনেছেন। এছাড়া মওদুদ আহমেদ এর স্ত্রী রাশেদা বেগম স্বামীর অধিকার আদায়ের জন্য আমার নিকট একটি আবেদন দিয়েছেন। তিনি বিষয়টি কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতিকে জানিয়েছেন। আগামী মিটিং এ তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান।