বিনোদন ডেস্ক : শুটিং ফ্লোরে আপত্তিজনকভাবে অভিনেত্রীদের গায়ে কখনও হাত দেওয়া আবার কখনও বা কোনও অভিনেত্রীর সঙ্গে অভব্য আচরণের জেরে, গতবছরই #MeToo জালে জড়িয়েছিলেন একাধিক বলিউড প্রযোজক, পরিচালকরা। তবে, শুটিং ফ্লোরে সেই চিন্তা যাতে আর না করতে হয়, বলিউডে এবার সেই ব্যবস্থাই শুরু হল। শুরুটা করলেন ‘কেকওয়াক’ পরিচালক রামকমল মুখোপাধ্যায় এবং প্রযোজক অরিত্র দাস। রামকমল আপাতত ব্যস্ত তাঁর পরবর্তী ছবি ‘সিজনস গ্রিটিংস’ নিয়ে। যেই ছবি দিয়ে বলিউডে ফিরছেন অভিনেত্রী সেলিনা জেটলি। আর এই ছবিতেই পরিচালক-প্রযোজকের অভিনব উদ্যোগে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথমবারের জন্য নিয়োগ করা হল ‘ইন্টিমেসি সুপারভাইজার’। চিত্রনাট্যে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য। চুম্বন, আলিঙ্গন থেকে শরীরে শরীরে মিশে যাওয়া। আপত্তি তো থাকতেই পারে অভিনেত্রীর! পাছে, ঘনিষ্ঠ দৃশ্য পরিচালকের ক্যামেরাবন্দি করার সময় তাঁকে অস্বস্তিতে না পড়তে হয়। বলা যায় না, যদি বিপরীতের অভিনেতার ছোঁয়ায় তাঁর মনে হয় তিনি অস্বস্তিবোধ করছেন! যার জেরে ভবিষ্যতে উঠতে পারে #MeToo-এর মতো অভিযোগও। তাই এই ঘনিষ্ঠ দৃশ্য শুটের জন্য হলিউডে একরকম পন্থা অবলম্বন করা হয়। যাতে অভিনেত্রীরা শুটিংয়ের সময় অস্বস্তিবোধ না করেন। সাধারণত একজনকে রাখা হয় শুটিং ফ্লোরে এই দৃশ্য শুটের সময়। যিনি পুরো ব্যাপারটা মনিটর করেন যে চিত্রনাট্যে অভিনেত্রী-অভিনেতার কোনও অসুবিধে আছে কিনা, কিংবা কতটা ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে তাঁর আপত্তি রয়েছে, এই যাবতীয় ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করা হয় তাঁর সঙ্গে। সঙ্গে অবশ্যই থাকেন পরিচালক এবং প্রযোজক। তাকে বলা হয় ‘ইন্টিমেসি সুপারভাইজার’।