অনলাইন ডেস্ক, সিএনআই নিউজ :
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘সি’ এবং ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত ‘জি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে অসঙ্গতি থাকায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শনিবার রাতে উপাচার্য অধ্যাপক হারুন উর রশিদ আসকারী এ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ।
রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ৫ ডিসেম্বর মানবিক ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষায় প্রথম শিফটের প্রশ্নপত্রে দ্বিতীয় শিফটেরও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ কারণে দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষা বাতিল ও তৃতীয় শিফটের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরে ৮ ডিসেম্বর ওই দুই শিফটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রশ্নপত্রের এ অসঙ্গতির কারণ অনুসন্ধানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রশাসন।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক শামসুল আলম, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক রেজওয়ানুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক রবিউল হোসেন অনু এবং সদস্য সচিব হিসেবে আছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ। কমিটিকে যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া গত ৩ ডিসেম্বর ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত ‘জি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অবাণিজ্য শিফটের মধ্যে ১৫ জন বাণিজ্য শাখার ভর্তিচ্ছুর আসন বিন্যাস হয়। এতে বাণিজ্য শাখার এই ১৫ ভর্তীচ্ছু অবাণিজ্য শাখার প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে পারেনি। পরে ৫ ডিসেম্বর এই ১৫ ভর্তিচ্ছুর পুনঃপরীক্ষা নেওয়া হয়।
এ অসঙ্গতির কারণ অনুসন্ধানে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অ্যধাপক আহসান উল আম্বিয়াকে আহ্বায়ক এবং অধ্যাপক দীপক কুমার পাল ও অ্যধাপক অরবিন্দ সাহাকে সদস্য করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকেও যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অ্যধাপক হারুন-উর-রশিদ আসকারী জানান, ‘এসব অসঙ্গতির কারণ জানার জন্যই তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য এর প্রতিকারের ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া এসবের পেছনে যদি কারো অশুভ উদ্দেশ্য থাকে আর তা প্রমাণিত হয়, তবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ‘
সানি / সিএনআই নিউজ / ৯৮১৬